পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেল s )م لار( এখন জলখাবারের সময়। এইটে ছিল ব্ৰজেশ্বরের একটা লালচিহ্ন-দেওয়া দিনের ভাগ। জলখাবারের বাজার করা ছিল তারই জিন্মায়। তখনকার দিনে দোকানির ঘিয়ের দামে শতকরা ত্রিশ-চল্লিশ টাকা হারে মুনফা রাখত না, গন্ধে স্বাদে জলখাবার তখনো বিধিয়ে ওঠে নি। যদি জুটে বেত কচুরি সিঙাড়, এমন-কি আলুর দম, সেটা মুখে পুরতে সময় লাগত না। কিন্তু যথাসময়ে ব্রজেশ্বর যখন তার বাকা ঘাড় আরও বঁকিয়ে বলত ‘দেখো বাৰু আজ কী এনেছি, প্রায় দেখা যেত কাগজের ঠোঙায় চীনেবাদাম-ভাজা ! সেটাতে আমাদের যে রুচি ছিল না তা নয়, কিন্তু ওর দরের মধ্যেই ছিল ওর আদর। কোনোদিন টু শব্দ করি নি। এমন-কি, যেদিন তালপাতার ঠোঙা থেকে বেরত তিলেগজা সেদিনও না । দিনের আলো আসছে ঘোলা হয়ে । মন খারাপ নিয়ে একবার ছাদটা ঘুরে আসা গেল, নীচের দিকে দেখলুম তাকিয়ে— পুকুর থেকে পাতিহাসগুলো উঠে গিয়েছে। লোকজনের আনাগোনা আরম্ভ হয়েছে ঘাটে, বটগাছের ছায় পড়েছে অর্ধেক পুকুর জুড়ে, রাস্তা থেকে জুড়িগাড়ির সইলের ইকি শোনা যাচ্ছে । 2 দিনগুলো এমনি চলে যায় একটানা । দিনের মাঝখানটা ইস্কুল নেয় থাবলিয়ে, সকালে বিকেলে ছিটকিয়ে পড়ে তারই বাড়তির ভাগ । ঘরে ঢুকতেই ক্লাসের বেঞ্চিটেবিলগুলো মনের মধ্যে যেন শুকনে কম্বুইয়ের গুতো মারে । রোজই তাদের একই আড়ষ্ট চেহারা । সন্ধেবেলায় ফিরে যেভূম বাড়িতে। ইস্কুলঘরে তেলের বাতিটা তুলে ধরেছে পরদিনের পড়াতৈরি-পথের লিগঙ্গাল। এক-একদিন বাড়ির আঙিনায় আসে ভালুকনাচ-ওয়ালা। আগে সাপুড়ে সাপ খেলাতে। এক-একদিন আলে ভোজবাজিওয়ালা, ७कप्ले मग्न नङ्कनग्न बारबख । আমাদের চিৎপুর রোডে আজ আর ওদের ডুগডুগি বাজে না। সিনেমাকে দুর থেকে সেলাম ক’রে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। শুকনো পাতার সঙ্গে এক জাতের ফড়িঙ যেমন বেমালুম রঙ মিলিয়ে থাকে জাষার প্রাণটা তেমনি শুকনো দিনের সঙ্গে ফ্যাকাশে হয়ে মিলিয়ে থাকত । 野 তখন খেলা ছিল সামান্ত কয়েক রকমের। ছিল মার্বেল, ছিল যাকে বলে ব্যাটবল —ক্রিকেটের অত্যন্ত দূৰ কুটুৰ। জার ছিল লাঠিম-ঘোরানে, ঘুড়ি-ওড়ানো। শহরে