পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৬

જીરના ब्रवैौटश-द्रक्रमांबलौ । বাদশাহি দরবারের চার দিকে চলেছে সর্বনেশে কানাকানি ফুসফাল । অন্দরমহলে খোলা তলোয়ার হাতে হাবসি খোজারা পাহারা দিচ্ছে । বেগমদের হামামে ছুটছে গোলাবজলের ফোয়ারা, উঠছে বাজুবন্ধ-কাকনের ঝনঝনি। আজ স্থির দাড়িয়ে শাহিবাগ, ভুলে-ধাওয়া গল্পের মতো ; তার চার দিকে কোথাও নেই সেই রঙ, নেই সেই-সব ধ্বনি— শুকনো দিন, রস-ফুরিয়ে-যাওয়া রাজি । পুরনো ইতিহাস ছিল তার হাড়গুলো বের করে ; তার মাথার খুলিটা আছে, মুকুট নেই। তার উপরে খোলস মুখোল পরিয়ে একটা পুরোপুরি মূর্তি মনের জাদুঘরে সাজিয়ে তুলতে পেরেছি তা বললে বেশি বলা হবে। চালচিত্তির খাড়া করে একটা খসড়া মনের সামনে দাড় করিয়েছিলুম, সেটা আমার খেয়ালেরই খেলনা । কিছু মনে থাকে, অনেকখানি ভুলে যাই ব'লে এইরকম জোড়াতাড়া দেওয়া সহজ হয় । আশি বছর পরে এলে নিজেরই যে-একখানা রূপ সামনে আজ দেখা দিয়েছে আসলের সঙ্গে তার সবটা লাইনে লাইনে মেলে না, অনেকখানি সে মনগড়া । এখানে কিছুদিন থাকার পর মেজদাদা মনে করলেন, বিদেশকে যারা দেশের রস দিতে পারে সেইরকম মেয়েদের সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দিতে পারলে হয়তো ঘরছাড়া মন আরাম পাবে। ইংরেজি ভাষা শেখবারও সেই হবে সহজ উপায় । তাই কিছুদিনের জন্তে বোম্বাইয়ের কোনো গৃহস্থঘরে আমি বালা নিয়েছিলুম। সেই বাড়ির কোনো-একটি এখনকার কালের পড়াশুনোওয়ালা মেয়ে’ ঝকঝকে করে মেজে এনেছিলেন তার শিক্ষণ বিলেত থেকে । আমার বিদ্যে সামান্তই, আমাকে ছেলা করলে দোষ দেওয়া যেতে পারত না । তা করেন নি। পুথিগত বিদ্যা ফলাবার মতো পুজি ছিল না, তাই স্থবিধে পেলেই জানিয়ে দিতুম বে কবিতা লেখবার হাত আমার আছে। আদর আদায় করবার ঐ ছিল আমার সবচেয়ে বড়ো মূলধন। ধার কাছে নিজের এই কবিআনার জানান দিয়েছিলেম তিনি সেটাকে মেপেজুখে নেন নি, মেনে নিয়েছিলেন। কবির কাছ থেকে একটা ডাকনাম চাইলেন, দ্বিলেম জুগিয়ে— সেটা ভালো লাগল তার কানে। ইচ্ছে করেছিলেম সেই নামটি আমার কবিতার ছন্দে জড়িয়ে দিতে। বেঁধে দিলুম সেটাকে কাব্যের গাথুনিতে ; শুনলেন সেটা ভোরবেলাকার ভৈরবী স্বরে ; বললেন, ‘কবি, তোমার গান শুনলে আমি বোধ হয় আমার মরণদিনের থেকেও প্রাণ পেয়ে জেগে উঠতে পারি।" এর থেকে বোঝা বাবে, মেয়েরা যাকে আদর জানাতে চায় তার কথা একটু মধু মিশিয়ে বাড়িয়েই বলে, সেটা খুশি ছড়িয়ে দেবার জন্তেই। و » च्छनूf छद्रषक्लकब्र व जांना उद्रषक, छांख्गंब्र जांचांबांब नंशिक्ड'4ब कन्छ।