পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ রবীন্দ্র-রচনাবলী বলদেও । পহেলা তো বহুৎ ঘবড়া গিয়া থা। রাত ভর মেরে জীবাত্মানেলে হাজারো দফে বাতায়া লিয়া কি, কুছ নেই, কুছ নেই, ইয়ে তো শ্রেফ কাগজ হায়, হাওয়াসে চলা জাত, আগসে জল জাত, পানীমেসে গল জাত, ইসকো কিন্মং কৌড়িলে ভি কমতি হায় । লিকেন আত্মারাম সারা বখং ঘড়বড় করতে থে। মেরে ঐলি বুদ্ধি লগি যে ইয়ে কাগজ তো গুরুজিকে পাও পর ডারনেকে লায়েক একদম নেই হায়— ইস্লে দো এক রূপৈয়া ভি অচ্ছি হায় । পিছে ফজিরমে দে লোটা ভর ভাঙ যব পী লিয়া, তব সব দুরন্ত হো গয়া । মেরে দিল হাল্কা হো গয়া ইয়ে কাগজকল মাফিক । শুরু । জীত রহো বাবা, পরমাত্মা তুঝকো ভাল করে । বলো সবাই— নোটগুলো সব বুটো, সব ঝুটো, সব ঝুটো— ওরা সব খড়কুটো, খড়কুটো, খড়কুটো— ছাই হয়ে উড়ে যাবে মুঠো মুঠে, মুঠো মুঠো, মুঠো মুঠো। { সকলের আবৃত্তি গুরু । আজ ফকিরকে দেখছি নে যে বড়ো । বলদেও । এক ঔরং ফকিরচাদজিকে আপনি সাথ লেকে আয়ি হায় । নয়া আদমি, হমার মালুম দিয়া কি ভিতর আকে চিল্লায়েগি— ইস্বাস্তে দোনোকে বাছার খাড়া রখখা হায় । হুকুম মিলনেসে লে আয়গা । গুরু। কী সর্বনাশ ! ঔরং ! আরে নিয়ে আয়, নিয়ে আয়, এখথনি নিয়ে আয় । এইখানে একটা ভালো আসন পেতে দে, মেয়েট হাতছাড়া না হয় ! ফকিরের সঙ্গে পুষ্পর প্রবেশ গুরু। এল এস, মা, এল । মুখ দেখেই বুঝছি, দৈববাণীর বাহন হয়ে এসেছ । পুপ। ভুল বুঝছেন। আমি ছাই ফেলবার ভাঙা কুলো হয়েই এসেছি। এই আমার সঙ্গে যাকে দেখছেন, এত বড়ে বিশুদ্ধ ছাইয়ের গাদা কোম্পানির মুস্তুকে আর পাবেন না। কোনোদিন ওঁর মধ্যে পৈত্রিক সোনার আভাস হয়তো কিছু ছিল— গুরুর আশীৰ্বাদে চিহ্নমাত্রই নেই । গুরু । এসব কথার অর্থ কী । পুপ। অর্থ এই যে, এর বাপ একে ত্যাগ করেছেন, ইনি ত্যাগ করতে যাচ্ছেন এঁর স্ত্রীকে । এক পয়সার সম্বল এঁর নেই। শুনেছি, আপনার এখানে সকলরকম আবর্জনারই স্থান আছে, তাই রইলেন ইনি আপনার ঐ পাদপদ্মে ।