পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তির উপায় ፃ ó ফকির। অ্যা, এসব কথা কী বলছ, পুপদি । ঐ তো, সোনার হারগাছা নিয়ে । আসা গেল— গুরুচরণে রাখবে না ? 李 পুপ। রাখব বৈকি । ( গুরুর হাতে দিয়ে ) তৃপ্ত হলেন তো ? ' গুরু । ( হারখানা হাতে নিয়ে ওজন আন্দাজ ক’রে ) আমার অতি বৎসামান্তেই তৃপ্তি। পত্ৰং পুষ্পং ফলং তোয়ং । ফকির। ভুল করবেন না প্রস্থ, ওটা আমারই দান। পুপ। ভুল ভাঙানো জরুরি দরকার, নইলে আসন্ন বিপদ।। ওঁর বাবা বিশ্বেশ্বরবাৰু পুলিলে খবর দিয়েছেন, তার হার চুরি গেছে। থানাতল্লালি করতে এখনি আসছে মথলুগঞ্জের বড়ো দারোগা দবিরুদিন সাহেব । গুরু । ( দাড়িয়ে উঠে ) কী সর্বনাশ ! পুষ্প । কোনো ভয় নেই, এখখনি সোনাগুলোকে ভস্ম করে ফেলুন, পুলিসের উপর সেটা প্রকাও একটা কানমলা হবে । গুরু । ( কাতরস্বরে ) বলদেও ! বলদেও। (লাঠি বাগিয়ে ) কুছ পরোয় নেই, ভগবান। জাপ তো পরমাত্মা হো, আপকো হুকুমলে হম লড়াই করেঙ্গে । মধুর। গুরুজি, ওর ভরসায় থাকবেন না । ওর ভাঙের নেশা এখনো ভাঙে নি । লালপাগড়ি দেখলেই যাবে ছুটে । আপাতত আপনি দৌড় দিন। কী জানি, এই নোটখানা পরমাংমার ভরসায় ওর কোন মনিবের বাক্স ভেঙে নিয়ে এসেছে ! গুরু । অ্যা, বল কি মধুর। পালাব কোথায় । ওরা যে আমার বাসার ঠিকানা জানে। এখন এই ঝুলিটা তোমরা কে রাখবে। সকলে । কেউ না, কেউ না । তারিণী । আমার বালা জোড়া ফিরিয়ে দাও । গুরু । এখখনি, এখখনি। আর বলদেও, তোমার নোটখানা তুমি নাও, বাবা। বলদেও। অবভি তো নেই সকেক্ষে । পুলিস চলা জানেলে পিছে লেউক্ষণ । পুপ। আচ্ছা, আমারই হাতে ঝুলিটা দিন। পুলিসের কর্তার সঙ্গে পরিচয় আছে। যার বার জিনিস সবাইকে ফিরিয়ে দেব । মখুর। ওরে বাস্ রে, স্পাই য়ে স্পাই। কারও স্বক্ষণ নেই জাজ । গুরু । স্পাই । সর্বনাশ ! (উর্ধ্বশ্বালে ) চললুম জামি । মোটরটা আছে ? একজন ৷ আছে । ফকির । ( পাৰে ধ’রে ) প্রভো, আমি কিন্তু ছাড়ছি নে তোমায় সঙ্ক ।