পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ রবীন্দ্র-রচনাবলী তোকে মানুষ করলুম বটে, কিন্তু— যাই হোক গে, তুই যাকে ধর্ম বলে বেড়াস সে আমার মান চলবে না— নাহয়, তুই আমার ঘরে আমার হাতে নাই খেলি— কিন্তু তোকে তো দু’সন্ধে দেখতে পাব, সেই আমার ঢের । বিনয়, তুমি মুখটি অমন মলিন কোরো না বাপ— তোমার মনটি নরম, তুমি ভাবছ আমি দুঃখ পেলুম— কিছু না বাপ । আর-এক দিন নিমন্ত্রণ করে খুব ভালো বামুনের হাতেই তোমাকে খাইয়ে দেব— তার ভাবনা কী ! আমি কিন্তু, বাছা, লছমিয়ার হাতে জল খাব, সে আমি সবাইকে বলে রাখছি । গোরার মা নীচে চলিয়া গেলেন । বিনয় চুপ করিয়া কিছুক্ষণ দাড়াইয়া রহিল ; তাহার পর ধীরে ধীরে কহিল, “গোরা, এটা যেন একটু বাড়াবাড়ি হচ্ছে ।” গোর । কার বাড়াবাড়ি ? বিনয় । তোমার । গোরা। এক চুল বাড়াবাড়ি নয় । যেখানে যার সীমা আমি সেক্টটে ঠিক রক্ষে করে চলতে চাই । কোনো ছুতোয় স্বচ্য গ্রভূমি ছাড়তে আরম্ভ করলে শেষকালে কিছুই বাকি থাকে না । বিনয় । কিন্তু মা ষে । BBS BBS BBB BB B BB BBB S BBB BB BB BSBBB BBB BBBB BB BBBS BBB BB BBB BS BSS BBB BB S BB BSBB BBB B মানতে শুরু করি তবে একদিন হয়তে মাকে ও মানব না । দেপো বিনয়, তোমাকে একটা কথা বলি, মনে রেখে— হৃদয় জিনিসটা অতি উত্তম, কিন্তু সকলের চেয়ে উত্তম নয় । বিনয় কিছুক্ষণ পরে একটু ইতস্তত করিয়া বলিল, “দেখো, গোরা, স্বাক্ত মা'র কথা শুনে আমার মনের ভিতরে কী রকম একটা নড়াচড়; হচ্ছে । আমার বোপ হচ্ছে যেন মার মনে কী একটা কথা আছে, সেক্টটে তিনি আমাদের বোঝাতে পারছেন না, তাই কষ্ট পাচ্ছেন ? গোর অধীর হইয়া কহিল, "আf: বিনয়, অত কল্পনা নিয়ে পেলিও না— ওতে কেবলই সময় নষ্ট হয়, আর কোনো ফল হয় না ।” বিনয় । তুমি পৃথিবীর কোনো জিনিসের দিকে কপনে ভালো করে তাকাও না, তাই যেটা তোমার নজরে পড়ে না, সেটাকেই তুমি কল্পনা ব’লে উড়িয়ে দিতে চাও । কিন্তু আমি তোমাকে বলছি, আমি কতবার দেখেছি মা যেন কিসের জন্যে একটা ভাবনা পুষে রেখেছেন– কী যেন একটা ঠিকমতে মিলিয়ে দিতে পারছেন ন- সেই জন্তে ওঁর