পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉○8 রবীন্দ্র-রচনাবলী স্বদেশের তারই প্রতি সংকোচহীন সংশয়হীন সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রকাশ করে দেশের অবিশ্বাসীদের মনে সেই শ্রদ্ধার সঞ্চার করে দেওয়া । দেশের সম্বন্ধে লজ্জা করে করে আমরা নিজের মনকে দাসত্বের বিষে দুর্বল করে ফেলেছি । আমাদের প্রত্যেকে নিজের দৃষ্টাস্তে তার প্রতিকার করলে তার পর আমরা কাজ করবার ক্ষেত্রটি পাব। এখন যে-কোনো কাজ করতে চাই সে কেবল ইতিহাসের ইস্কুলবইটি ধ’রে পরের কাজের নকল হয়ে ওঠে। সেই ঝুটো কাজে কি আমরা কখনো সত্যভাবে আমাদের সমস্ত প্রাণমন দিতে পারব ? তাতে কেবল নিজেদের হীন করেই তুলব। এমন সময় হাতে একটা ছকা লইয়া মুতুমন্দ অলস ভাবে মহিম আসিয়া ঘরে প্রবেশ করিলেন । অপিস হইতে ফিরিয়া জলযোগ সরিয়া, একট পান মুখে দিয়া এবং BBBBB BB BBB BBBS BBB BB BBBS BBBBB BB BBBB BBBB সময় আর-কিছুক্ষণ পরেই একটি একটি করিয়া পাড়ার বন্ধুরা জুটিবে, তখন সদর দরজার পাশের ঘরটাতে প্রমার খেলিবার সভা বসিবে । মহিম ঘরে ঢুকিতেই গোরা চৌকি ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইল । মহিম ছ’কায় BBB BB BB BBBSBBB S BBB BB BBS BBBB BBBB BBB করো তো ।” গোরা মহিমের মূপের দিকে চাহিয়া রহিল । মহিম কছিলেন, “আমাদের আপিসের নতুন যে বড়োসাহেব হয়েছে— ডালকু স্থার মতো চেহারা— সে বেটা ভারি পাজি । সে বাবুদের বলে বেবুন— করে মা মরে গেলে ছুটি দিতে চায় না, বলে মিথ্যে কথা— কোনো মাসেই কোনো বাঙালি অমিলার গোটা মাইনে পাবার জো নেই, জরিমানায় জরিমানায় একেবারে শতছিদ্র করে ফেলে । কাগজে তার নামে একটা চিঠি বেরিয়েছিল, সে বেটা ঠাউরেছে আমারই কর্ম। নেহাত মিথ্যে ঠাওরায় নি। কাজেই এখন আবার স্বনামে তার একটা কড়া প্রতিবাদ না লিখলে টিকতে দেবে না । তোমরা তে য়ুনিভারসিটির জলধি মন্থন ক'রে দুই রত্ন উঠেছ— এই চিঠিখান একটু ভালো করে লিপে দিতে হবে । ওর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে even-handed justice, never-failing generosity, kind courteousness ইত্যাদি ইত্যাদি ।” গোরা চুপ করিয়া রহিল । বিনয় হাসিয়া কছিল, "দাদা, অতগুলো মিথ্যা কথা এক নিশ্বাসে চলিবেন ?” মহিম । শঠে শাঠ্য সমাচরেং । অনেক দিন ওদের সংসর্গ করেছি, আমার কাছে কিছুই অবিদিত নেই। ওরা যা মিথ্যা কথা জমাতে পারে সে তারিফ করতে