পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8o রবীন্দ্র-রচনাবলী কৃষ্ণদয়াল । বাবা, তর্কে তোমাকে ঠিকটি বোঝাতে পারব না। তবে তুমি যা বলছ সেও সত্য । যার যেটা কর্মফল, নির্দিষ্ট ধর্ম, তাকে এক দিন ঘুরে ফিরে সেই ধর্মের পথেই আসতে হবে— কেউ আটকাতে পারবে না । ভগবানের ইচ্ছে । আমরা কী করিতে পারি । আমরা তো উপলক্ষ । কর্মফল এবং ভগবানের ইচ্ছা, সোহহংবাদ এবং ভক্তিতত্ত্ব সমস্তই কৃষ্ণদয়াল সম্পূর্ণ সমান ভাবে গ্রহণ করেন— পরস্পরের মধ্যে ষে কোনোপ্রকার সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে তাহ অনুভবমাত্র করেন না । وا আজ আহ্নিক ও স্নান হার সারিয়া কৃষ্ণদয়াল অনেক দিন পরে আনন্দময়ীর ঘরের মেজের উপর নিজের কম্বলের আসনটি পাতিয়া সাবধানে চারি দিকের সমস্ত স লব হইতে যেন বিবিত্ত হইয়া খাড় হঠয়া বসিলেন । আনন্দময়ী কছিলেন, “ওগো, তুমি তো তপস্যা করছ, ঘরের কথা কিছু ভাব না, কিন্তু আমি যে গোরার জন্যে সর্বদা ভয়ে ভরে গেলুম।" কুষ্ণদয়াল । কেন, ভয় কিসের ? BBBBS D BBBS BB BBBB BB BS BB BBBB BB BBB BBS BB BBBBB gg B BBBB BBB BBB BSB DDSD BBB BS এ ভাবে চলতে গেলে শেষ কালে একটা কী বিপদ ঘটবে। আমি তে; তোমাকে তখনই বলেছিলুম, ওর পক্টতে দিয়ে না । তখন যে তুমি কিছুই মানতে না ; বললে, গলায় একগাছা স্বতে পরিয়ে দিলে তাতে কারও কিছু আসে যায় না। কিন্তু শুধু তো সুতো নয়— এপন একে ঠেকাবে কোথায় ? কৃষ্ণদয়াল । বেশ ! সব দোষ বুঝি আমার ! গোড়ায় তুমি যে ভুল করলে । তুমি যে ওকে কোনোমতেই ছড়িতে চাইলে না । তখন আমিও গোয়ারগোছের ছিলুম— ধর্মকর্ম কেনে কিছুর তো জ্ঞান ছিল না । এখন ছলে কি এমন কাজ করতে পারতুম | আনন্দময়ী । কিন্তু যাই বল, আমি যে কিছু অধৰ্ম করেছি সে আমি কোনোমতে মানতে পারব না । তোমার তো মনে আছে ছেলে হবার জন্যে আমি কী না করেছি— যে যা বলেছে তা শুনেছি– কত মাদুলি কত মস্থর নিয়েছি সে তো তুমি জানষ্ট । এক দিন স্বপ্নে দেগলুম যেন সাজি ভরে টগরফুল নিয়ে এসে ঠাকুরের পুজো করতে বসেছি— এক সময় চেয়ে দেখি সাজিতে ফুল নেই, ফুলের মতো ধবধবে একটি