গোরা રર૧ दिनद्र दिबिठ इहेइ कश्णि,"छूमि कांग्र कां८छ् उनटन ?" গোরা । অবিনাশের কাছে । সেও সেদিন সার্কাপ দেখতে গিয়েছিল । গোরা আর কিছু না বলিয়া লিখিতে লাগিল । গোরা এ খবরটা আগেই শুনিয়ছে, সেও আবার অবিনাশের কাছ হইতে শুনিয়াছে, সুতরাং তাহাতে বর্ণনা ও ব্যাখ্যার কোনো অভাব ঘটে নাই— ইহাতে তাহার চিরসংস্কারবশত বিনয় মনের মধ্যে ভারি একটা সংকোচ বোধ করিল। সার্কাসে যাওয়া এবং এ কথাটা এমন করিয়া লোকসমাজে না উঠিলেই সে খুশি হইত। এমন সময়ে তাহার মনে পড়িয়া গেল কাল অনেক রাত্রি পর্যন্ত না ঘুমাইয়া সে মনে মনে ললিতার সঙ্গে ঝগড়া করিয়াছে । ললিতা মনে করে সে গোরাকে ভয় করে এবং ছোটো ছেলে যেমন করিয়া মাস্টারকে মানে তেমনি করিয়াই সে গোরাকে মানিয়া চলে। এমন অন্যায় করিয়াও মানুষকে মানুষ ভুল বুঝিতে পারে ! গোরা বিনয় যে একাত্মা ; অসামান্যতাগুণে গোরার উপরে তাহার একটা ভক্তি আছে বটে, কিন্তু তাই বলিয়া ললিতা যে রকমটা মনে করিয়াছে সেটা গোরার প্রতিও অন্যায় বিনয়ের প্রতিও জঙ্কায় । বিনয় নাবালক নয় এবং গোরাও নাবালকের অছি নহে । গোরা নি:শব্দে লিখিয়া ৰাইতে লাগিল, আর ললিতার মুখের সেই তীক্ষাগ্র গুটি দুই-তিন প্রশ্ন বার বার বিনয়ের মনে পড়িল । বিনয় তাহাকে সহজে বরখাস্ত করিতে পরিল না । দেখিতে দেখিতে বিনয়ের মনে একটা বিদ্রোহ মাথা তুলিয়া উঠিল । সার্কাস দেখিতে গিয়াছি তো কী হইয়াছে ! অবিনাশ কে, যে, সে সেই কথা লইয়া গোরার সঙ্গে আলোচনা করিতে অলে— এবং গোরাই বা কেন আমার গতিবিধি সম্বন্ধে সেই BBBBBBB BB BBBBB BB BDDS BB BB BBB BB BBBD S BBB সঙ্গে মিশিব, কোথায় যাইব, গোরার কাছে তাছার জবাবদিহি করিতে হক্টৰে ! বন্ধুত্বের প্রতি এ যে বিষম উপদ্রব ।’ গোরা ও অবিনাশের উপর বিনয়ের এভ রাগ হইভ না যদি সে নিজের ভীরুতাকে নিজের মধ্যে সহসা স্পষ্ট করিয়া উপলব্ধি না করিত । গোরার কাছে যে সে কোনো কথা ক্ষণকালের জন্তও ঢাকাঢাকি করিতে বাধ্য হইয়াছে সেজন্য সে আজ মনে মনে যেন গোরাকেই অপরাধী করিতে চেষ্টা করিতেছে । সার্কালে ৰাওয়া লইয়া গোরা যদি বিনয়ের সঙ্গে দুটো ঝগড়ার কথা বলিত তাহা হইলেও সেটাতে বন্ধুত্বের সাম্য রক্ষিত ইষ্টত এবং বিনয় সাৰনা পাইত— কিন্তু গোৱা ষে গভীর হইয়া মস্ত বিচারক সাজিয়া
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।