পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6*२ রবীন্দ্র-রচনাবলী চতুভুজের প্রবেশ ছোটো ছেলে। দাদাবাৰু, এ বেড়ালটি আমাকে— চতুভূজ । ( তাহাকে এক চপেটাঘাত ) দিন রাত্রি কেবল বেড়াল বেড়াল বেড়াল ! মা ! বাছা সাধে রাগ করে ! এত দিন পরে বাড়ি এল, ছেলেগুলি বিরক্ত করে খেলে । যা, তোরা সব যা ! ( চতুভূজের প্রতি ) আমাকে দাও বাছা— দুধভাত রেখে দিয়েছি, আমি তোমার বেড়ালকে খাইয়ে আনছি। চতুভূজ । ( সরোষে) এই নাও মা, তোমরা বেড়ালকেই খাওয়াও, আমি খাব না, আমি চললেম । মা ! ( সকাতরে ) ও কী কথা ! তোমার খাবার তো তৈরি আছে বাপ, এখন নেয়ে এলেই হয় । চতুভূজ । আমি চললেম— তোমাদের দেশে বেড়ালেরই আদর, এখানে গুণবানের আদর নেই । বিড়ালের প্রতি লাথি-বর্ষণ মাসিমা । আহা, ওকে মেরো না— ও তো কোনো দোষ করে নি। চতুভূজ । বেড়ালের প্রতিই যত তোমাদের মায়ামমতা— আর মামুষের প্রতি একটু দয়া নেই। [ প্রস্থান ছোটো মেয়ে । ( নেপথ্যের দিকে নির্দেশ করিয়া ) হরিখুড়ে দেখে যাও, ওর লেজ কত মোট । হরি । কার ? মেয়ে । ওই-যে ওর ! হরি । চতুভুজের ? মেয়ে ] না, ওই বেড়ালের । তৃতীয় দৃশ্য পথ। ব্যাগ হস্তে চতুভুজ। সঙ্গে বিড়াল নাই সাধুচরণ। মশায়, আপনার সে বেড়ালটি গেল কোথায় ? চতুভূজ । সে মরেছে। সাধুচরণ । আহা, কেমন করে মোলো ? চতুৰ্ভুজ। ( বিরক্ত হইয়া) জানি নে মশায় !