পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাস্তকৌতুক Q○ পরানবাবুর প্রবেশ পরান। মশায়, আপনার বেড়াল কী হল ? চতুভূজ । সে মরেছে। পরান। বটে ! মোলো কী করে ? চতুভূজ। এই তোমরা যেমন করে মরবে। গলায় দড়ি দিয়ে । পরান I ও বাবা, এ যে একেবারে অfগুন । চতুভুজের পশ্চাতে ছেলের পাল লাগিল হাততালি দিয়৷ 'কাবুলি বিড়াল "কাবুলি বিড়াল’ বলির খেপাইতে লাগিল ভাদ্র ১২৯২ ৮রোগের চিকিৎসা প্রথম দৃশ্য হাপাইতে হাপাইতে খোড়াইতে খোড়াইতে হারাধনের প্রবেশ হারাধন । বাবা! ডাক্তার সাহেবের আস্তাবল থেকে হাসের ডিম চুরি করতে গিয়ে আজ আচ্ছা নাকাল হয়েছি! সাহেব যেরকম তাড়া করে এসেছিল, মরেছিলেম আর-কি ! ভয়ে পালাতে গিয়ে খানার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেম । পা ভেঙে গেছে— তাতে দুঃখ নেই, প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছি এই ঢের । রোগীগুলোকে হাতে পেলে ডাক্তার সাহেব পঢ় পটু করে মেরে ফেলে ; আমার কোনো ব্যামোস্তামো নেই, আমাকেই তো সেরে ফেলবার জো করেছিল । এবারে রোজ রোজ আর হালের ডিম চুরি করব না; একেবারে আস্ত স্থাল চুরি করব, আমাদের বাড়িতে ডিম পাড়বে। নেপথ্য হইতে ! হার ! হাধন। ( সভয়ে ) ওই রে, বাবা এসেছে । আমার একটা পা খোড়া দেখলে মারের চোটে বাবা আর-একটা পা খোড়া করে দেবে। নেপথ্যে পুনশ্চ। হাক! (নিরুত্তর ) । হারা ! ( নিরুত্তর ) । হেরো! পিতার প্রবেশ হারাধন । ( অগ্রসর হইয়া ) আজ্ঞে ।