পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\sఆషా রবীন্দ্র-রচনাবলী হাস্তরসে এক জনকে জিজ্ঞাসিলেন তবে কও দেখি কার অধিকারে বসত কর সবে ॥ সে লোক বললে তখন রাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায় । মেঘের ধারা রৌদ্রে যেমন লাগল দূতীর গায় । ননিচোরা রাখাল ছোড়া ঠাট করেছে আসি । চোর বিনে তাকে কবে ডাকছে গোকুলবাসী ॥ কৃষ্ণের এই রায়বাহাদুর খেতাবটি দূতীর কাছে অত্যন্ত কৌতুকাবহ বোধ হইল। কৃষ্ণচন্দ্ররায় ! এ তো আসল নাম নয়। এ কেবল মূঢ় লোকদিগকে ভুলাইবার একটা আড়ম্বর । আসল নাম বৃন্দা জানে। চললেন শেষে কাঙালবেশে উতরিলেন দ্বারে । হুকুম বিনে রাত্রিদিনে কেউ না যেতে পারে । বহুকষ্টে হুকুম আনাইয়া ‘বৃন্দাদূৰ্তী গেল সভার মাঝে । সম্ভাষণ করি দূতী থাকল কতক্ষণ । একদৃষ্টে চেয়ে দেখে কৃষ্ণের বদন । ধড়াচড়া ত্যাগ করিয়ে মুকুট দিয়েছ মাথে । সব অঙ্গে রাজ-আভরণ, বংশী নাইকো হাতে ॥ সোনার মালা কণ্ঠহার বাহুতে বাজুবন্ধ। শ্বেত চামরে বাতাস পড়ে দেখে লাগে ধন্দ ॥ নিশান উড়ে, ডঙ্কা মারে, বলছে খবরদার । ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ঘটা ব্যবস্থা বিচার ॥ আর এক দরখাস্ত করি শুন দামোদর যমুনাতে দেখে এলেম এক তরী মনোহর । শূন্ত হয়ে ভাসছে তরী ওই যমুনাতীরে । কাণ্ডারী-অভাবে নৌকা ঘাটে ঘাটে ফিরে । পূর্বে এক কাণ্ডারী ছিল সর্বলোকে কয় । সে চোর পালালো কোথা তাকে ধরতে হয় । শুনতে পেলেম হেথা এলেম মথুরাতে আছে। হাজির না হয় যদি জানতে পাবে পাছে ৷ মেয়ে হয়ে কয় কথা, পুরুষের ডরায় গা । সভাশুদ্ধ নি:শব্দ, কেউ না করে রা —