পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী جولا কুঞ্জবিহারী । মাঝখানে চাদ যেন— বশম্বদ। খন্‌ খন থক্ থক্‌ ! কুঞ্জবিহারী । ( ঠেলা দিয়া ) শুনছেন বশম্বদবাবু— মাঝখানে চাদ যেন— বশম্বদ । রমন একটু— থক্ থক্‌ খন খন ঘড়, ঘড় ! কুঞ্চবিহারী । ( চটিয়া উঠিয়া ) আপনি অত্যন্ত বদলোক । এরকম করে যদি কাশতে হয় তো আপনি ঘরের কোণে গিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়ে থাকুন। এমন বাগান— বশম্বদ । ( সভয়ে প্রাণপণে কাশি চাপিয়া ) আজ্ঞে, আমার আর কিছু নেই। (স্বগত ) অর্থাং কম্বলও নেই, কাথাও নেই । কুঞ্জবিহারী । এই শোভা দেখে আমার একটি গান মনে পড়ছে । আমি গাই— সু-উ-উন্দর উপবন বিকশিত তরু-উগণ মনোহর বকু— বশম্বদ । ( উৎকট হাচি ) হ্যাচ্ছে: কুঞ্জবিহারী । মনোহর বকু— বশম্বদ | হ্যাচ্ছো;— হ্যাচ্ছো:– কুঞ্জবিহারী । শুনছেন ? মনোহর বকু— বশম্বদ | হ্যাচ্ছে: হ্যাচ্ছোঃ ! কুঞ্জবিহারী । বেরোও আমার বাগান থেকে— বশস্বদ । রসুন— হ্যাচ্ছোঃ ! কুঞ্জবিহারী । বেরোও এখেন থেকে— বশম্বদ । এখনি বেরোচ্ছি— আমার আর এক দণ্ডও এ বাগানে থাকবার ইচ্ছে নেই– আমি না বেরোলে আমার মহাপ্রাণী বেরোবেন । হ্যাচ্ছেঃ ! শরৎকালের মাধুরী আমার নাক-চোখ দিয়ে বেরোচ্ছে । প্রাণটা স্বদ্ধ হেঁচে ফেলবার উপক্ৰম । হ্যাচ্ছে: হ্যাচ্ছো: ! থক্ থক্‌ ! কিন্তু কুঞ্জবাবু সেই কাজট যদি– あTfび列f:! কুঞ্জবাবুর শাল মুড়ি দিয়া নীরবে আকাশের চাদের দিকে চাহিয়া পাকন। ভূত্যের প্রবেশ ভূত্য । খাবার এসেছে । কুঞ্জবিহারী। দেরি করলি কেন ? খাবার আনতে দু-ঘণ্টা লাগে বুঝি ? [ দ্রুত প্রস্থান অগ্রহায়ণ ১২৯২