পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૦૪ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বাউল। আমি যে সব দিয়ে শুনি— শুধু কান দিয়ে না। · চন্দ্ৰহাস । রাস্তায় যাকে জিজ্ঞাসা করি বুড়োর কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে, কেবল দেখি এরই ভয় নেই । ও বোধ হয় চোখে দেখতে পায় না বলেই ভয় করে না । বাউল। না গো, আমি কেন ভয় করি নে বলি। একদিন আমার দৃষ্টি ছিল। যখন অন্ধ হলুম ভয় হল দৃষ্টি বুঝি হারালুম। কিন্তু চােখওয়ালার দৃষ্টি অন্ত যেতেই অন্ধের দৃষ্টির উদয় হল । সূৰ্য যখন গোল তখন দেখি অন্ধকারের বুকের মধ্যে আলো । সেই অবধি অন্ধকারকে আমার আর ভয় নেই। তা হলে এখন চলো । ঐ তো সন্ধ্যাতারা উঠেছে। বাউল। আমি গান গাইতে গাইতে যাই, তোমরা আমার পিছনে পিছনে এসো। গান না গাইলে আমি রাস্তা পাই নে । সে কী কথা হে। বাউল । আমার গান আমাকে ছাড়িয়ে যায়- সে এগিয়ে চলে, আমি পিছনে চলি । १ চলো তোমার বিজন মন্দিরে । জানি নে পথ, নাই যে আলো, তোমার চরণশব্দ বরণ করেছি আজ এই অরণ্যগভীরে । ধীরে বন্ধু ধীরে ধীরে । চলো অন্ধকারের তীরে তীরে । তোমার হাওয়ার ইশারাতে, তোমার বসনগন্ধ বরণ করেছি আজ এই বসন্তসমীরে ৷ চতুর্থ দৃশ্যের গীতি-ভূমিকা নবীনের জয় S প্ৰত্যাগত যৌবনের গান ভেবেছিলেম ফিরব না রে । এই তো আবার নবীন বেশে । এলেম তোমার হৃদয়-দ্বারে । কে গো তুমি - আমি বকুল ; কে গো তুমি - আমি পারুল ;