পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१४७ • রবীন্দ্র-রচনাবলী করাইয়া বঁচিবে কী করিয়া। ইহাতে মারা খাইতে হয় তোমার খাইব । তাই বলিয়া নিরস্ত হইতে পারিব না । গালিকেই আমার চেষ্টার সার্থকতা মনে করিয়া আমি মাথায় করিয়া লইব, আর-কোনাে পুরস্কার চাই না । ইতি ২৭শে অগ্রহায়ণ ১৩১৮ ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের পুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত সলিলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই চিঠিগুলি রক্ষা করিয়াছিলেন, তিনি অনুগ্রহপূর্বক এগুলি আমাদের ব্যবহার করিতে দিয়াছেন । । অধ্যাপক এডুওআর্ড টমসন রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে তাহার পুস্তকে অচলায়তনে কোনো কোনো ইংরেজি গ্রন্থের ছায়া আছে, এইরূপ উক্তি করেন । রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়কে একটি চিঠিতে (৩ আষাঢ় ১৩৩৪) রবীন্দ্ৰনাথ এ সম্বন্ধে লেখেন "Castle of Indolence gr Faerie Queen Wif f frt- Princess-as iCar অচলায়তনের সুদূরতম সাদৃশ্য আছে বলে আমার বোধ হয় না । আমাদের নিজেদের দেশে মঠ-মন্দিরের অভাব নেই- আকৃতি ও প্রকৃতিতে অচলায়তনের সঙ্গে তাদেরই মিল আছে।” “আমার ধর্ম প্ৰবন্ধে অচলায়তন-প্রসঙ্গে রবীন্দ্ৰনাথ লিখিয়াছেন “যে বোধে আমাদের আত্মা আপনাকে জানে সে বোধের অভ্যুদয় হয় বিরোধ অতিক্রম করে, আমাদের অভ্যাসের এবং আরামের প্রাচীরকে ভেঙে ফেলে। যে বোধে আমাদের মুক্তি “দুৰ্গং পথ্যস্ত।ৎ কবয়ো বদস্তি- দুঃখের দুৰ্গম পথ দিয়ে সে তার জয়ভেরী বাজিয়ে আসে- আতঙ্কে । সে দিগদিগন্ত কঁাপিয়ে তোলে। তাকে শত্রু বলেই মনে করি ; তার সঙ্গে লড়াই করে তবে তাকে স্বীকার করতে হয় । কেননা, নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ । অচলায়তনে এই কথাটাই আছে । মহাপঞ্চক । তুমি কি আমাদের গুরু । দাদাঠাকুর । হা । তুমি আমাকে চিনবে না, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু । মহাপঞ্চক । তুমি গুরু ? তুমি আমাদের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে এ কোন পথ দিয়ে এলে । (NOTNICKS CS NNOK | A. দাদাঠাকুর । আমাকে মানবে না জানি, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু । মহাপঞ্চক । তুমি গুরু ? তবে এই শক্রবেশে কেন । দাদাঠাকুর । এই তো আমার গুরুর বেশ । তুমি যে আমার সঙ্গে লড়াই করলে— সেই লড়াই আমার গুরুর অভ্যর্থনা । -- মহাপঞ্চক । আমি তোমাকে প্ৰণাম করব না । দাদাঠাকুর । আমি তোমার প্রণাম গ্রহণ করব না, আমি তোমাকে প্ৰণত করব । মহাপঞ্চক । তুমি আমাদের পূজা নিতে আস নি ? দাদাঠাকুর । আমি তোমাদের পূজা নিতে আসি নি, অপমান নিতে এসেছি। আমি তো মনে করি আজ যুরোপে যে যুদ্ধ বেধেছে। সে ঐ গুরু এসেছেন বলে । তাকে অনেক দিনের টাকার প্রাচীর, মানের প্রাচীর, অহংকারের প্রাচীর ভাঙতে হচ্ছে । তিনি আসবেন বলে কেউ প্ৰস্তুত ছিল না। কিন্তু তিনি যে সমারোহ করে আসবেন, তার জন্যে আয়োজন অনেক দিন থেকে চলছিল ।” -সবুজ পত্র । আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৪ অচলায়তনের দুইখানি রবীন্দ্ৰ-পাণ্ডুলিপি শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত । তন্মধ্যে যেটি প্রথম পাঠ বলিয়া গণ্য তাহার শেষে রচনার স্থান-কালের উল্লেখ আছে : ১৫ই আষাঢ় ।। ১৩১৮। শিলাইদা - to Its fable was probably suggested by The Princess, and, more remotely, The Castle of Indolence and The Faerie Queen- Edward Thompson in Rabindranath Tagore : Poet and Dramatist, p. 225.