পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठि३ S&N হলা। বাউদিদি, একটা পিতলের ঘটি। কটকের তৈরি। এ জিনিসের দরদ তুমিই বুঝবে, নীরজা। এর দাম কত হবে ? . . . . হলা! (জিভ কেটে) এমন কথা বোলো না। ঐ ঘটির দাম নেব? তোমার খেয়ে-পরেই মানুষ! ঘটি টেবিলে রেখে অনা ফুলদানি থেকে ফুল নিয়ে সাজিয়ে দিলে। যাবার মুখো হয়ে ফিরে দাঁড়িয়ে আমার ভািগনীর বিয়েতে সেই বাজুবন্ধের কথাটা ভুলো না বউদিদি। পিতলের জিনিস। যদি দিই তাতে তোমারি নিন্দে হবে। নীরজা। আচ্ছা আচ্ছা, স্যাকরাকে ফরমাশ দেব, তুই এখন যা। { হলার প্রস্থান t দ্বিতীয় দৃশ্য নী রাজা শয্যায় অর্ধশায়িত ! তাঁর খুড়তুতে দেওর রমেনের প্রবেশ রমেন। বাউদি, দাদা পাঠিয়ে দিলেন। আজ আফিসে কাজের ভিড়, হোটেলে খাবেন, দেরি হবে ফিরতে । নীরজা। (হেসে) খবর দেবার ছুতো করে এক দৌড়ে ছুটে এসেছ, ঠাকুরপো। কেন, আপিসের বেহারিাটা মরেছে বুঝি ? রমেন। তোমার কাছে আসতে তুমি ছাড়া অন্য ছুতোর দরকার কিসের বউদি? বেহােরা বেটা কী বুঝবে এই দূতপদের দরদী। নীরজা। ওগো মিষ্টি ছড়ােচ্ছ অস্থানে। এ ঘরে এসেছি কোন ভুলেঃ তোমার মালিনী আছেন আজ একাকিনী নেবু কুঞ্জবনে। দেখো গে যাও। : * 46भन्म ! *४<6न्: বনলক্ষ্মীকে দর্শনী দিই। আগে, তার পরে যাব মালিনীর G এই বলে বুকের পকেট থেকে একখানা গল্পের বই বের করে নীরিক্তার হাতে দান নীরজা। “অশ্রুশিকল”-এই বইটাই চাচ্ছিলুম। আশীৰ্বাদ করি, তোমার মালঞ্চের মালিনী চিরদিন বুকের কাছে বাঁধা থাক হাসির শিকলো।— ঐ যাকে তুমি বলে তোমার কল্পনার দোসরতোমার স্বপ্নসঙ্গিনী। কী সোহাগ গো ! রমেন । আচ্ছা বউদি, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, ঠিক উত্তর দিয়ে। নীরজা। কী কথা ? রমেন। সরলার সঙ্গে আজ কি তোমার ঝগড়া হয়ে গেছে ? নীরজা। কেন বলে তো? . রমেন। দেখলুম। ঝিলের ধারে ঘাটে চুপ করে সে বসে আছে। মেয়েদের তো পুরুষদের মতো কাজ-পালানো উড়ো-মন নয়। এমন বেকার দশা আমি সরলার কোনোদিন দেখি নি। জিজ্ঞাসা