পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা । JFð S কিন্তু টিকিল না। তার কারণ, আমরা তো কেবলমাত্র খুস্টানকলেজের প্রধান অধ্যক্ষ এবং তিত-উদ্ধারের দুঃসাধ্যব্রতধারীদের কােছ হইতেই শিক্ষা পাই নাই। আমরা যে ইংলন্ডের কাছ ঠাইতে শিখিতেছি। সেও আজ একশো বছরের উপর হইয়া গেল। সে শিক্ষা তো বন্ধ্যা নহে, নূতন প্রাণকে সে জন্ম দিবেই। তার পরে সেই প্ৰাণের ক্ষুধাতৃষ্ণা যে অন্নপানীয়ের দাবি করিবে তাকে একেবারে প্রত্যাখ্যান করিতে কেহ পরিবে না। * א" ་་ মনে আছে, ছেলেবেলা যখন ইংরেজি মাস্টারের কাছে ইংরেজি শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ মুখস্থ করিতে হইত। তখন ৷ শব্দের একটা প্রতিশব্দ বহু কষ্টে কণ্ঠস্থ করিয়াছিলাম, সে হইতেছে ; Myself-1, by Myself ) । ইংরেজি এই ৷ শব্দের প্রতিশব্দটি আয়ত্ত করিতে কিছু দিন সময় লাগিয়াছে ; ক্ৰমে এক্রমে অল্প অল্প করিয়া ওটা একরকম সড়গড় হইয়া আসিল । এখন মাস্টারমশায় ৷ হইতে ঐ myself-টাকে কালির দাগে লাঞ্ছিত করিয়া রবারের ঘর্ষণে একেবারে মুছিয়া ফেলিতে ইচ্ছা করিতেছেন। আমাদের খৃস্টান হেডমাস্টার বলিতেছেন, “আমাদের দেশে শব্দের যে অর্থ তোমাদের দেশে সে অর্থ হইতেই পারে না।" কিন্তু ওটাকে কণ্ঠস্থ করিতে যদি আমাদের দুইশো বছর লগিয়! থাকে ওটাকে সম্পূর্ণ বহিষ্কৃত করিতে তার ভবল সময়ে ও কুলার কেিনা সন্দেহ করি। কেননা, ঐ I শব্দের ইংরেজি মন্ত্রটা ভয়ংকর কড়া, গুরু। যদি গোড়া হইতেই ৬টা সম্পূৰ্ণ চাপিয়া ঘাইতে পারিতেন তো কোনো বালাই থাকিত না ; এখন ওটা কানি হইতে الله f ভারতবর্ষের সঙ্গে আপনি সম্পর্ক রাখিয়াছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে রবে না। বাহা তার সর্বোচ্চ সম্পদ ত্যাহা ইচ্ছা করিয়াই হউক, ইচ্ছার ४९८ ७*** °र; '% ਲ । ‘ upupus -p J. (ካ ..................... کسی بس۔ سی۔ مٹی، حہ ഇ ெ . - سده سی و سی ۶ ه. بی. است... ختند، ست، مشهد، -.-... . . . . <রূদ্ধেই হউক, আমাদিগকে দিতেই হইবে। ইহাই বিধাতার অভিপ্রায়, তার সঙ্গে প্রিনসিপাল ኬ• al সাহেবের অভিপ্রায় মিলুক আর নাই মিলুক। তাই আজ আমাদের ছাত্রেরা কেবলমাত্র ইংরেজি * গ্রাকের ইংরেজি গোট কুড়ানোর উদ্ধৃবৃত্তিতেই নিজেকে কৃতাৰ্থ মনে করিবে না, আজ তারা অ’ সম্মানকে বজায় রাখিতে চাহিবেই ; আজ তারা নিজেকে কলের পুতুল বলিয়া ভুল করিতে পরিবে না ; আজ তারা জেলের দারোগীকে নিজের গুরু বলিয়া মানিয়া শাসনের চােটে তাকে গুর ভক্তি দেখাইতে রাজি হইবে না। আজ যাহা সতী হইয়া উঠিয়াছে তাকে গালি দিলেও তাহা মিথ্যা হইবে না এবং তার গালে চড় মারিলেও সে যে সত্য ইহাই আরো বেশি করিয়া প্রমাণ তই তে থাকিবে । যে কথা লইয়া আজ্ঞ আলোচনা চলিতেছে। এ যদি একটা সামনা ও সাময়িক আন্দোলন মাত্র গুই ও তােহা হইলে আমি কোনো কথাই বলিতাম না। কিন্তু ইহার মূলে খুব একটা বড়ো কথা আছে, সেইজন্যই এই প্রসঙ্গে চুপ করিয়া থাকা অন্যায় মনে করি। - মানুষের ইতিহাস ভিন্ন দেশে ভিন্ন মূর্তি ধরে। ভারতবর্ষের ইতিহাসেরও বিশেষত্ব আছে। সেই ইতিহাসের গোড়া হইতেই আমরা দেখিয়া আসিতেছি, এ দেশ কোনো বিশেষ একটি জাতির * বিশেষ একটি সভ্যতার দেশ নয়। এ দেশে আর্যসভ্যতাও যেমন সত্য দ্রাবিড় সভ্যতাও তেমনি

  • তা, এ দেশে হিন্দুও যত বড়ো মুসলমানও তার চেয়ে নিতান্ত কম নয়। এইজনাই এখানকার *৩হাস নানা বিরোধের বাঙ্গাপসংঘাতে প্ৰকাণ্ড নীহারিকার মতো ঝাপসা হইয়া আছে। এই

f: y তহাসে আমরা নানা শক্তির আলোড়ন দেখিয়া আসিতেছি, কিন্তু একটা অখণ্ড ঐতিহাসিক মূর্তির উদ্ভাবন এখনো দেখি নাই। এই পরিব্যাপ্ত বিপুলতার মধ্য হইতে একটি নিরবচ্ছিন্ন ‘আমির **স্পষ্ট ক্রান্দন জাগিল না। ".