পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, वाळ्जी आकाङ 8brپه م পুস্তক-মধ্যে ছােটাে ছোটাে অসাবধানতা সম্বন্ধে যে-সকল কথা বলিয়াছেন, তাহার কতকগুলির উত্তর দেওয়ার উপযুক্ত পােত্র সম্পাদক স্বয়ং। আমরা কেবল এ সম্বন্ধে দুই-চারিটি কথা বলিব। “কিয়ে’ শব্দের অর্থ কি অপেক্ষা কিবা ভালো হয়। কিয়ে’ শব্দের স্থানে কি হয়। কিনা, আমাদের সন্দেহ আছে। কিয়া” শব্দেই হিন্দিতে কি। কিয়ে শব্দে উর্দুতে করিয়াছিল অর্থ হয়। এরূপ অবস্থায় কিয়ে শব্দের অর্থে কিবা ব্যবহার করিয়া সম্পাদক দুন্ধর্ম করেন নাই। আর হাস্যজনক কথা কোথাও দেখিলাম না। 5ीशः প্রত্যুত্তর- ‘কিয়ে’ শব্দের অর্থে জিজ্ঞাসাসূচক কি” হয় কি না, এ বিষয়ে লেখকের সন্দেহ আছে। কিন্তু কেবলমাত্র ব্যাকরণ না পড়িয়া প্রাচীন কবিতা ভালো করিয়া পড়িলে এ সন্দেহ DBDDDBOSDD DBBSS DDBBBBDBDBD JD0D DBBDS ‘হাম যদি জানিয়ে পিরীতি দুরন্ত, "হাম যদি জানিতু কানুক রীতি তব কিয়ে তা সঙে বাঁধিয়ে চিত?” যাহা হউক এই প্রস্তাব লইয়া বিবাদ করা আমাদিগের অভিলাষ নহে! আমরা সম্পাদকের পক্ষে বা প্রবন্ধ-লেখকের বিপক্ষে নাহি। প্রবন্ধ-লেখক মহাশয় স্থানে স্থানে যে-সকল ভুল বাহির করিয়াছেন তাহার মধ্যে কতকগুলি আমাদের ভুল বলিয়া বিশ্বাস হইয়াছে। তবে প্রবন্ধ-লেখক মহাশয় সম্পাদকের উপর যে তুচ্ছ তাচ্ছিলা ভােব প্রকাশ করিয়াছেন ; তঁহার গুরুতর পরিশ্রমের কথা বিস্মৃত হইয়া প্রকারান্তরে তঁহাকে অলস ও এ কার্যে অক্ষম বলিয়া অনা কোনো ব্যক্তিকে এই কার্যে হস্তক্ষেপ করিতে অনুরোধ করিয়াছেন— ইহা আমাদের ভালো লাগে নাই। আমরা পূর্বেও বলিয়াছি, এখনো বলিতেছি, যে, লেখার ভাব দেখিয়া আমাদের বোধ হইয়াছে যে, লেখক যেন, দোষ দেখাইয়া আনন্দ লাভ করিবার জন্যই কলম ধারণ করিয়াছিলেন। যেন তিনি কোনো কারণ প্রযুক্ত ইতিপূর্বে সম্পাদকের উপর চটিয়া ছিলেন, এক্ষণে সুযোগ পাইয়া এই প্রস্তাবে গাত্রের জ্বালা নিবারণ করিয়াছেন। এ প্রকার লেখার প্রশ্রয়, আমরা দিতে পারি না। আর সম্পাদকের নিকট আমাদের প্রার্থনা যে, তিনি যেন তাহার কাব্য-সংগ্রহের দ্বিতীয় সংস্করণে ইহার ভুলগুলি সংশোধন করিয়া দেন। তিনি গুরু পরিশ্রম করিয়া কাব্য সংগ্ৰহ করিয়াছেন তজ্জন্য বঙ্গবাসী তাহার নিকট কৃতজ্ঞ আছে। আর একটু পরিশ্রম করিয়া সামান্য সামান্য ভুলগুলি সংশোধন করিয়া দিলে আমরা, তাহার নিকট অধিকতর কৃতজ্ঞ হইব। প্রত্যুত্তর- যৎসামান্য শ্রম-স্বীকার পূর্বক ব্যাকরণ ও অভিধান না খুলিয়া সম্পাদক মহাশয় অসংকোচে টীকা করিয়া যাওয়াতে যে-সকল ভ্ৰমে পড়িয়াছেন, তাহা যদি সমস্ত উদধূত করিয়া দিই তাহা হইলে সহজেই প্রমাণ হইবে যে, আমি তীহাকে যে নিন্দা করিয়াছি তাহা অযথা হয় নাই। আমার প্রতি অন্যায় ও রুচি-বিগৰ্হিত দোষারোপ দূর করিবার নিমিত্ত ভবিষ্যতে সেইগুলি বিবৃত করিবার মানস রহিল। আমি সাহিত্যের সেবক। সাহিত্য লইয়াই অক্ষয়বাবুর সহিত বিবাদ করিয়াছি, তাহা আমার কর্তব্য কর্ম। সাহিত্য-বহির্ভূত ব্যক্তিগত কোনো কথার উল্লেখ করিয়া তাহার প্রতি আমার আক্রোশ প্রকাশ করি নাই ; এমন স্থলে যদি কেহ বলেন যে, ‘লেখক কোনো