পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve8vo করিতেছেন কি জ্ঞান দান করি। ছন কি জ্ঞান দান করিতেছেন। সহসা বুঝা দুঃসাধ্য; এই পর্যন্ত বলা যায় দুইটির মধ্যে অসহ্যགཙཉིས་ཙམ། কোনাে উচ্চশ্রেণীর সাময়িক পত্রে এরূপ গদ্যপ্রবন্ধ কেন স্থান প্রাপ্ত হয় সাহিত্য। ফাঙ্গুন [১২৯৮] “সোম।” এই উৎকৃষ্ট প্রবন্ধে লেখক মহাশয় বেদ হইতে অনেকগুলি দৃষ্টান্ত উদধূত করিয়া প্রমাণ করিতেছেন বেদে সোম বলিতে ঈশ্বরপ্রেম বুঝায়। সোম বলিতে ঈশ্বরপ্রেম রূপকভাবে বুঝাইত, না। তাহার প্রকৃত অর্থই এই লেখক মহাশয় কোথাও তাহার আলোচনা করিয়াছেন বলিয়া মনে পড়িতেছে না। সুরাপানের আনন্দের সহিত ঈশ্বরপ্রেমানন্দের তুলনা অন্যত্রও পাওয়া যায়, উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু তাহা হইতে প্রমাণ হয় না যে, তান্ত্রিকেরা কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক সুরাই সেবন করিয়া থাকেন। যাহা হউক, এখনো আমাদের সম্পূর্ণ সন্দেহ মোচন হয় নাই। আহার' শ্রদ্ধাস্পদ লেখক মহাশয় বলেন “আমাদের মহাজ্ঞানী ও সূক্ষ্মদশী শাস্ত্রকারেরা আহারকে ধর্মের অন্তর্গত করিয়া গিয়াছেন।” এই ভাবের কথা আমরা অনেক দিন হইতে শুনিয়া আসিতেছি, কিন্তু ইহার তাৎপর্য সম্পূর্ণ বুঝিতে পারি না। অনেকেই গৌরব করিয়া থাকেন আমাদের আহার ব্যবহার সমস্তই ধর্মের অন্তর্ভুত— কিন্তু এখানে ধর্ম বলিতে কী বুঝায়? যদি বল ধর্মের অর্থ কর্তব্যজ্ঞান, মানুষের পক্ষে যাহা ভালো তাঁহাই তাহার কর্তব্য, ধর্ম এই কথা বলে, তবে জিজ্ঞাসা করি সে কথা কোন দেশে অবিদিত! শরীর সুস্থ রাখা যে মানুষের কর্তব্য, যাহাতে তাহার কল্যাণ হয় তাহাই তাহার অনুষ্ঠেয় এ কথা কে না বলে! যদি বল, এ স্থলে ধর্মের অর্থ পরলোকে দণ্ড-পুরস্কারের বিধান, অর্থাৎ বিশেষ দিনে বিশেষ ভাবে বিশেষ আহার করিলে শিবলোক প্রাপ্তি হইবে এবং না করিলে চতুর্দশ পুরুষ নরকস্থ হইবে, ধর্ম এই কথা বলে, তবে সেটাকে সত্য ধর্ম বলিয়া স্বীকার করা যায় না। কোনো এক মহাজ্ঞানী সূক্ষ্মদশী শাস্ত্রকার লিখিয়া গিয়াছেন মধুকৃষ্ণা ত্ৰয়োদশীতে গঙ্গাস্নান করিলে ‘ত্রিকোটিকুলমুদ্ধরেৎ’; মানিয়া লওয়া যাক উক্ত ত্রয়োদশীতে নদীর জলে স্নান করিলে শরীরের স্বাস্থ্যসাধন হয়, কিন্তু ইহার মধ্যে গৌরবের অংশ কোনটুকু? ওই পুরস্কারের প্রলোভনটুকু? কেবল ওই মিথ্যা প্রলোভন সূত্রে এই স্বাস্থ্যতত্ত্ব অথবা আধ্যাত্মিক তত্ত্বের নিয়মটুকুকে ধর্মের সহিত গাঁথা হইয়াছে। নহিলে, স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম পালন করা ভালো, এবং যাহা ভালো তাঁহাই কর্তব্য এ কথা কোন দেশের লোক জানে না? আহারের সময় পূর্বমুখ করিয়া উপবেশন করিলে তাঁহাতে পরিপাকের সহায়তা ও তৎসঙ্গে মানসিক প্ৰসন্নতার বৃদ্ধি সাধন করে। অতএব পূর্বমুখে আহার করা ধর্মবিহিত এ কথা বলিলে প্রমাণ লইয়া তর্ক উঠিতে পারে। কিন্তু মূল কথাটা সম্বন্ধে কাহারও কোনো আপত্তি থাকিতে পারে না। কিন্তু যদি বলা হয় পূর্বমুখে আহার না করিলে অপবিত্র হইয়া ত্রিকোটিকুলাসমেত নরকে পতিত হইতে সত্যু মিথ্যা প্রমাণের উপর নির্ভর করে যে-সকল বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞানোন্নতি সহকারে মতে, কিছুই অসম্ভব নহে। তাহকে কী বলিয়া । יהו উপায়ে বিশেষ দ্রব্য আহার করা ধর্ম না করা অধৰ্ম, এরূপ বিশ্বাসে গুরুতর . . ." י. k কর্তব্য অতএব তাহা ধর্ম এ - . Rዖ፡ኻ তির কোনোকালে পরিবর্তন সম্ভব নহে, কিন্তু কোনো অনিষ্টের কারণ ঘটে। .. ” . ۱۰۰ ا. و. ای ۹. زبان - * : " " - - . . . . از ... " ། ༧. ا" ۰ ( " " بیرون " A ". . " | ... و i s Y . i 'w ייו" , , , W ."ולז' י