পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vet 8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বিস্মিত চকিত স্তম্ভিত হইতে বিশেষ পরিশ্রম করিতে হয় না, অনুসন্ধান অথবা চিন্তার আবশ্যক করে না এবং লেখাটাও বিস্তার লাভ করে। নগেন্দ্রবাবুর লেখায় কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা এবং তদপেক্ষা ভাবী অবস্থা সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা জন্মাইয়া দেয়। ‘সমুদ্রযাত্রা ও জন্মভূমি পত্রিকা’- প্ৰবন্ধটি थावल, जलल ७ निडैीक। •ቄ শ্রাবণ ১২৯৯ নব্যভারত। জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় ১২৯৯] ‘মেঘনাদবধচিত্র’- বহুকাল হইল প্রথম বর্ষের ভারতীতে [ শ্রাবণ-কাৰ্তিক, পৌষ, ফাল্লুন ১২৮৪] মেঘনাদবধ কাব্যের এক দীর্ঘ সমালোচনা বাহির হইয়াছিল, লেখক মহাশয় এই প্ৰবন্ধে তাহার প্রতিবাদ প্ৰকাশ করিতেছেন। তিনি যদি জানিতেন ভারতীর সমালোচক। তৎকালে একটি পঞ্চদশবর্ষীয় বালক ছিল। তবে নিশ্চয়ই উক্ত লোকবিশ্বত সমালোচনার বিস্তারিত প্রতিবাদ বাহুল্য বোধ করিতেন।”— রিজলি সাহেবের নবপ্রকাশিত গ্ৰন্থ অবলম্বন করিয়া ‘ব্রাহ্মণ্যধর্মের শ্ৰীবৃদ্ধি’ নামক যে প্ৰবন্ধ সংকলন করিয়াছেন, তাহাতে ভারতবর্ষের অনার্যজাতীয়েরা কী করিয়া ব্ৰাহ্মাণ্যের গণ্ডির মধ্যে অল্পে অল্পে প্ৰবেশ লাভ করিয়াছে তাহার কথঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যায়- প্ৰবন্ধটি নিরতিশয় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় আমরা যথেষ্ট তৃপ্তি লাভ করিলাম না।- ‘সাকার ও নিরাকার উপাসনা’। ইহাতে যে-সকল তর্ক অবলম্বিত হইয়াছে তাহা এতই সরল যে, সহসা মনে প্রশ্ন উদয় হয় এ-সকল কথা কি কাহাকেও বিশেষ করিয়া বুঝানো আবশ্যক? দুঃখের বিষয় এই যে, আবশ্যক আছে। আরও দুঃখের বিষয় এই যে যাহারা মনে মনে এ সমস্তই বুঝেন, তাহারাও নানারাপ কৃত্রিম কুট তর্ক উদভাবন করিতেছেন, সুতরাং এ যুক্তিগুলি স্থলবিশেষে ভুল ভাঙিবার এবং স্থলবিশেষে কেবলমাত্র মুখবন্ধ করিবার জন্য আবশ্যক হইয়াছে’- ‘অনাহারে মরণ’। বাল্যকাল হইতে যথেষ্ট পুষ্টিকর আহার পায় না বলিয়া যে বাঙালি জাতির মনুষ্যত্ব অসম্পূর্ণ থাকে। এ কথা আমরা লেখকের সহিত স্বীকার করি। শরীর অপুষ্ট থাকাতে আমাদের চরিত্রের ভিত্তি কঁাচা থাকিয়া যায়। লেখকের মতের সহিত আমাদের সম্পূর্ণ ঐক্য আছে। কেবল তাহার রচনার দুই-এক স্থলে আমাদের খটকা লাগিয়াছে। এক স্থলে আছে “তঁহারা বাক্যসার, বক্তাদিগের অপেক্ষা ভালো স্বদেশপ্রেমিক “better patriots” ”ইংরাজি কথাটা জুড়িয়া দিবার অত্যাকশ্যক কারণ বুঝিতে পারিলাম না। প্রবন্ধের উপসংহারে গদ্য সহসা বিনা নোটিসে একপ্রকার ভাণ্ডছন্দ পাদ্যে পরিণত হইয়াছে, তাহার তাৎপৰ্য বুঝা কঠিন। সেইজন্য এই আড়ম্বরহীন গভীর প্রবন্ধ শেষ কালটায় হঠাৎ এক অদ্ভুত আকার ধারণ করিয়াছে; সংযতবেশ ভদ্রলোক সভা হলে অকস্মাৎ নটের ভাব ধারণা করিলে যেমন হয়। সেইরাপ। শেষ অংশটুকু বিচ্ছিন্ন করিয়া একটা স্বতন্ত্র পদ্য রচনা করিলে এরাপ খাপছাড়া হইত না। 7TRS i Kr SRS» ‘মধুচ্ছন্দার সোমবাগ - বেদে যে সোমােযাগের উল্লেখ আছে এই অতি উপাদেয় প্রবন্ধে তাঁহারই একটি গোপনীয় বিদ্যা ছিল। সেই বিদ্যার রহস্য যে জ্ঞানীরা অবগত ছিলেন তাহদের নিকট মধু ১. দ্র, পশ্চিমবঙ্গ সরকার -প্ৰকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৫, পৃ. ১১২-১৪৮ বর্তমান গ্রহ, পৃ. ৮২১২৫ এবং রবীন্দ্র-রচনাবলী আচলিত সংগ্ৰহ ২, পৃ. ৭৫ २. घ. बर्डमान शह, श्रृं. s०८-8s०