পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዪ9ዩለo ब्रदोक्ष-स5नांदी সম্বন্ধে আমাদের কৌতুহল উদ্রেক করিয়াছেন। উমেশচন্দ্র অধিক বয়সে বঙ্গসাহিত্যে প্রবেশ করিয়া অল্পকালের মধ্যেই প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। তাহার লেখা যেমন সরস, প্ৰাঞ্জল এবং পরিপক ছিল তেমনি তাহার মধ্যে লেখকের স্বকীয়তা, নিভীকতা এবং অকৃত্রিম দৃঢ় ধারণা প্রকাশ পাইত। কেবল যে রচনাগুণে তিনি শ্ৰদ্ধেয় ছিলেন তাহা নহে; রজনীকান্তবাবু লিখিতেছেন, ‘ব্যবহারে তিনি কলঙ্কশূন্য ছিলেন। কোনােরাপ কুসংস্কার তাহার হৃদয় স্পর্শ করিতে পারিত না। পৌত্তলিকতার প্রতি তাঁহার শ্রদ্ধা ছিল না। উপনিষৎপ্রোক্ত ব্ৰহ্মোপাসনাই প্রকৃত হিন্দুধর্ম এ কথা তাহার মুখে ব্যক্ত হইত। উচ্চ শ্রেণীর সংস্কৃত শিক্ষার সহ উচ্চ শ্রেণীর ইংরাজি শিক্ষা মিলিত হইলে কী অমৃতময় ফল প্রসব করে, তাহা তাহার জীবনে পরিলক্ষিত হইত। তাহার কোনোরূপ আড়ম্বর ছিল না। তাহার রামনগর বাসাবাটিতে গিয়াছি, এক কম্বলাসনে বসিয়া নানা আলাপ করিয়াছি। যখনই গিয়াছি কিছু না-কিছু শিখিয়া আসিয়াছি। নিয়ম পথ হইতে তিনি রেখামাত্র বিচ্যুত হইতেন না।” সর্বশেষে, আমরা প্ৰদীপের উন্নতির সঙ্গে তাহার স্থায়িত্ব কামনা করি। প্ৰদীপ যেরূপ প্রচুর পরিমাণে তৈল পূড়াইতেছে তাহাতে আশঙ্কা হয় কোন দিন তাহার অকাল নির্বাণ হইবে। এত ছবি না ছাপাইয়া এবং এত খরচপত্র না করিয়াও কেবল প্ৰবন্ধগীেরবে প্ৰদীপ স্থায়িত্ব লাভ করিতে পরিবে এইরূপ আমাদের বিশ্বাস। लाली অগ্রহায়ণ ১৩০৫