পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহপরিচয় AA শিলাইদহু হইতে লেখা একটি পত্রে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ গুণেন্দ্রনাথকে এই কবিতা প্রসঙ্গে লেখেন, “বিদ্বজনের card ও রবির কবিতা পাইয়াছি- কীৰ্ত্তমহাশয় কবিতাটিী পাঠ করিয়া ৬. জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সরোজিনী বা চিতোর আক্রমণ নাটক’-এর (প্ৰকাশ, অগ্রহায়ণ ১২৮২। নভেম্বর ১৮৭৫) ষষ্ঠ অঙ্কের অন্তর্ভুক্ত গান। বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের बिनाया काश्' (काल ১৩২৬) গ্ৰহ হইতে এই তথ্যটি প্রথম জানা - “আমি [জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও রামসৰ্ব্বস্ব দুইজনে রবির পড়ার ঘরে বসিয়াই সরোজিনী'র প্রাফ সংশোধন করিতাম। রামসৰ্ব্বস্ব খুব জোরে জোরে পড়িতেন। পাশের ঘর হইতে রবি শুনিতেন, ও মাঝে মাঝে পণ্ডিত মহাশয়কে উদ্দেশ্য করিয়া, কোন স্থানে কি করিলে ভাল হয়, সেই মতামত প্ৰকাশ করিতেন। রাজপুত মহিলাদের চিতা প্রবেশের যে একটা দৃশ্য আছে, তাহাতে পূৰ্ব্বে আমি গদ্যে একটা বক্তৃতা রচনা করিয়া দিয়াছিলাম। যখন এই স্থানটা পড়িয়া প্রাফ দেখা হইতেছিল, তখন রবীন্দ্রনাথ পাশের ঘরে পড়াশুনা বন্ধ করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া বসিয়া শুনিতেছিলেন। গদ্য-রচনাটি এখানে একেবারেই খাপ খায় নাই বুবিয়া, কিশোর রবি একেবারে আমাদের ঘরে আসিয়া হাজির। তিনি বলিলেনএখানে পদ্য রচনা ছাড়া কিছুতেই জোর বঁধিতে পারে না। প্রস্তাবটা আমি উপেক্ষা করিতে পারিলাম না- কারণ, প্রথম হইতেই আমারও মনটা কেমন খুৎ খুৎ করিতেছিল। কিন্তু এখন আর সময় কৈ? আমি সময়াভাবের আপত্তি উত্থাপন করিলে, রবীন্দ্রনাথ সেই বক্তৃতাটির পরিবৰ্ত্তে একটা গান রচনা করিয়া দিবার ভার লইলেন, এবং তখনই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জ্বলজ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ” এই গানটি রচনা করিয়া আনিয়া, আমাদিগকে চমৎকৃত করিয়া দিলেন।” ৭-৯. স্বাক্ষরিত রচনা। রবীন্দ্রনাথ তাহার কোনো কাব্যের মধ্যে ‘প্ৰলাপ’ কবিতাগুচ্ছকে স্থান দেন নাই। “জীবনস্মৃতি” গ্রন্থের “রচনাপ্রকাশ” অধ্যায়ে আলোচ্য পর্বের কবিতাগুলি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “এমন সময় জ্ঞানাঙ্কুর’ নামে এক কাগজ বাহির হইল। কাগজের নামের উপযুক্ত একটি অঙ্কুরোদগত কবিও কাগজের কর্তৃপক্ষেরা সংগ্ৰহ করিলেন। আমার সমস্ত পদ্যপ্ৰলাপ নির্বিচারে তাহারা বাহির করিতে শুরু করিয়াছিলেন। কালের দরবারে আমার সূকৃতি দুস্কৃতি বিচারের সময় কোনদিন তাহাদের তলব পাড়িবে, এবং কোন উৎসাহী পেয়াদা তাহাদিগকে বিস্মৃত কাগজের অন্দরমহল হইতে নির্লজভাবে লোকসমাজে টানিয়া বাহির করিয়া আনিবে, জেনানার দোহাই মানিবে না, এ ভয় আমার ANG AN VAR” ইতিপূর্বে প্রকাশিত “অভিলাষ’, ‘হােক ভারতের জয়', হিন্দুমেলায় উপহার’, ‘প্রকৃতির . খেদ’ ইত্যাদি কবিতার সঙ্গে 'প্ৰলাপগুচ্ছটিকেও রবীন্দ্রনাথ বর্জন করেন। 'প্ৰলাপ প্রথম সংকলিত হয় রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার -কর্তৃক প্রকাশিত ‘রবীন্দ্র রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ডে । So, লর্ড লিটনের সময়ে অনুষ্ঠিত (১৮৭৭ খৃস্টাব্দ) দিল্লি দরবার উপলক্ষে রচিত। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের “স্বপ্নময়ী’’ নাটকের (প্রকাশ ১৮৮২ খৃস্টাব্দ) চতুর্থ অঙ্কের চতুর্থ গর্ভাঙ্কে শুভসিংহের স্বাগত-উক্তিরাপে মুদ্রিত। সাধারণী সাপ্তাহিক পত্রে ৪ মার্চ ১৮৭৭ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, “... রবীন্দ্রবাবু দিল্লীর দরবার সম্পর্কে একটি কবিতা এবং একটি গীত রচনা করিয়াছিলেন। আমরা একটি প্ৰকাণ্ড বৃক্ষ ছায়ায় দূৰ্ব্বাসনে উপবিষ্ট হইয়া তাহার কবিতা এবং গীতটি শ্রবণ করি।... ইচ্ছা হইল রবীন্দ্রের গলা ধরিয়া কঁদিতে কঁদিতে বলি- আয় ভাই আমরা গাইব অন্য গান’।” A.