পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০২

Ꮡ8 f ब्ररौठ-ब्रळ्नांवलौ চলে গেল জাজিলিঙে ইংরেজি কলেজে। এমনি করে দুটো-একটি মেয়ে খসে যেতেও तक कट्झहिज, किरू शर्द्रौउिग्न बम किडूट्रख्हे छैजज मा । 疇 মেয়েদের মধ্যে, বিশেষত স্বরীতির, এই ওমর ছেলেদের অসহ হয়ে উঠল। তারা নানারকম করে ওর উপর উৎপাত শুরু করলে। গণিতের মাস্টার ছিলেন খুব কড়া । তিনি কোনোরকম ছ্যাবলামি সহ করতেন না। তারই ক্লাসে একদিন মহা গোলমাল বেধে গেল। স্বরীতির ডেস্কে তার বাপের হাতের অক্ষরে লেখা লেফাফা— খুলবামাত্রই তার মধ্য থেকে একটা আরসোলা ফরফর করে বেরিয়ে এল। মহা চেঁচামেচি বেধে গেল। সে জন্তুটা ভয় পেয়ে পাশের মেয়ের খোপার উপরে আশ্রয় নিলে। সে এক বিষম হাউমাউ কাও । গণিতের মাস্টার বেণীবাৰু খুব কড়া কটাক্ষপাত করবার চেষ্টা করতে লাগলেন, কিন্তু আরসোলার ফরফরানির উপরে তার শাসন খাটবে কী করে। সেই চেঁচামেচিতে ক্লাসের মানরক্ষা আর হয় না। আর-একদিন– স্বরীতির নোট বইয়ের পাতায় পাতায় ছেলেরা নস্তি দিয়েছে ভরে, খুব কড়া মস্তি। বইটা খুলতেই ঘোরতর হাচির ছোয়াচে উৎপাত বেধে গেল। সে গুড়ো পাশের মেয়েদের নাকে ঢুকে পড়ল। সকলকে নাকের জলে চোখের জলে করে দিলে। আর ঘন ঘন হ্যাচ্চে শব্দে পড়াশুনা বন্ধ হয় আর-কি। মাস্টার আড়চোখে দেখেন – দেখে তারও হালি চাপা শক্ত হয়ে ওঠে। একদিন রব উঠল কোনো মহারাজ কলেজ দেখতে আসবেন, বিশেষ করে মেয়েদের ক্লাস। কানে কানে গুজব রটল— তার এই দেখতে আসার লক্ষ্য ছিল বধূ জোগাড় করা। একদল মেয়ে ভান করলে যে, তাদের যেন অপমান করা হচ্ছে। কিন্তু ওরই ভিতরে দেখা গেল সেদিনকার খোপায় কিছু শিল্পকাজ, সেদিনকার পাড়ে কিছু রঙ। লোকটি তো ৰে-সে নয়, সে ক্রোড়পতি। মেয়েদের মনের মধ্যে একটা হুড়োমুড়ি ছিল সকলের আগে তার চোখে পড়বার । তার পরে ক্লাস তো হয়ে গেল। একটা দূত এসে জানালে বে তার পছন্দ ঐ স্বরীতিকেই। স্বরীতি জানে, এ রাজার তহবিলে অগাধ টাকার জোরে পুরুষ জাতির সমস্ত নীচতা কোথায় তলিয়ে যায়। ভান করলে এ প্রস্তাবে সে যে কেবল রাজি নয় তা নয়, বরঞ্চ সে অপমানিত বোধ করছে। কেননা, মেয়েদের ক্লাস তো গোহাট নয়, যে, ব্যবসায়ী এসে গোরু বাছাই করে নিয়ে যাবে। কিন্তু মনে-মনে ছিল আর-একটু সাধ্যসাধনার প্রত্যাশা। ঠিক এমন সময় খবর পাওয়া গেল, মহারাজা তার সমস্ত পাগড়ি-টাগড়ি-সমেত অন্তৰ্ধান করেছেন । তিনি বলে গিয়েছেন, বাঙালি মেয়েদের মধ্যে একটাকেও বাছাই করে নেবার যোগ্য তিনি দেখলেন না। এর চেয়ে তাদের পশ্চিমের বেদের মেয়েরাও অনেক ভালো ।