পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী واسb স্বরীতি রেগে গিয়ে পাশের ঘরে সুপারিনটেণ্ডেণ্ট, গোবিন্দবাবুকে বললে, “দেখুন जांयांरक कथांग्न कथांम्न अर्थशांम कब्रटल यांत्रेि थांकरु मां ।* so তিনি এসে বললেন ক্লাসের ছেলেদের, “তোমরা কেন ওকে এত উপজব করছ।” নীহার বললে, “একে কি উপত্রব বলে ! যদি কেউ নালিশ করতে পারে, তবে পূর্ণচন্দ্রই করতে পারতেন ষে তাকে আমি ঠাট্টা করেছি। আমাদের ক্লাসে যোগেশ বলে— ওগুলো বাদ দিয়ে শুধু ওকে নিভাননা বললেই হয়, কেননা কলমের নিভের মতন স্বতীয় ওর মুখ। শুনে বরং আমি বলেছিলুম ছি, এরকম করে বলতে নেই, ওঁরা হলেন বিদুষী— কথাটা চাপা দিয়েছিলুম। কিন্তু পূৰ্ণচন্দ্রনিভাননাতে আমি তো দোষের কিছু দেখি নি ।” ছেলেরা বললে, “আপনি বিচার করে দেখুন, আমরা মনের আনন্মে আউড়ে গিয়েছিলুম— হে সরস্বতীচরণকমলদলবিহারিণী গুঞ্চনমত্তমধুত্ৰত ! প্রথমত কথাটা নিন্দার নয়, দ্বিতীয়ত সেটা যে ওরই প্রতি লক্ষ করে বলা এত বড়ো অহংকার ওর কেন হল। ঘরেতে আরো তো ছাত্রী আছে, তার তো ছিল খুশি ।” স্বপারিনটেণ্ডেণ্ট, বললেন, “অস্থানে অসময়ে এরকম সম্ভাষণগুলো লোকে পরিহাস বলেই নেয়। দরকার কী বলা !” “দেখুন সার, মন যখন উতলা হয়ে ওঠে তখন কি সময় অসময়ের বিচার থাকে । তা ছাড়া আমাদের এ সম্ভাষণ যদি পরিহাসই হয়, তা হলে তো এটা কেউ গায়ে ন। নিয়ে হেসে উড়িয়ে দিতে পারতেন। আর আপনার কলেজে এত বড়ো বড়ো সব বিদুষী, এরা কি পরিহাসের উত্তরে পরিহাস করতেও জানেন না ? এদের দস্তরুচিকৌমুদীতে কি হাতমাধুরী জাগবে না। তা হলে আমরা সব তৃষিত স্বধাপিপাদ্ধ পুরুষগুলো বাচি কী করে।” এইরকম কথা-কাটাকাটির পালা চলত যখন তখন। স্বীতি অস্থির হয়ে উঠল— তার স্বাভাবিক গাম্ভীর্ষ আর টেকে না। সে ঠাট্টা করতে জানে না, অথচ কড়া জবাব করবার ভাষাও তার আসে না। সে মনে মনে জলে পুড়ে মরে । স্বরীতির এই দুৰ্গতিতে দয়া হয় এমন পুরুষও ছিল ওদের মধ্যে, কিন্তু তারা ঠাই পায় না। আর-একদিন হঠাৎ কী খেয়াল গেল, যখন স্বরীতি কলেজে আসছিল তখন রাস্তার ওপার থেকে নীহার তাকে ডেকে উঠল— "হে কনকচম্পকদামগৌরী !” লোকটা পড়াশুনা করেছে বিস্তর, তার ভাষা শিখবার বেন একটা নেশা ছিল। যখন তখন অকারণে সংস্কৃত আওড়াত, তার ধ্বনিটা লাগত ভালো। পাঠ্য পুস্তকের পড়ায় স্বরতি তাকে এগিয়ে থাকত, মুখস্থ বিস্তের লে ছিঙ্গ ওস্তান। কিন্তু