পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रौठ-ब्रक्रमांबलौ وی • (s बब्रक भफिरउराइ, उब्रज छूषांरब्र नशख नज जांव्हद्र श्रेष्ठांटाइ, गजशैन नै{ इकनकन শ্বেত মস্তকে স্তম্ভিতভাবে দণ্ডায়মান। দারুণ তীব্র শীতে হিমালয়গিরিও যেন অবসন্ন হইয়া গিয়াছে। এই শীতসন্ধ্যার বিষন্ন অন্ধকারের মধ্য দিয়া, গাঢ় বাষ্পময় স্তম্ভিত মেঘরাশি ভেদ করিয়া, একটি মানমূখী ছিল্পবসনা জরিত্র-বালিকা আশ্রময় নেজে শৈলের পথে পথে ভ্ৰমণ করিতেছে। তুষারে পদতল প্রস্তরের স্তায় অসাড় হইয়া গিয়াছে, শীতে সমস্ত শরীর কঁাপিতেছে, মুখ নীলবর্ণ, পার্শ্ব দিয়া দুই একটি নীরব পাছ চলিয়া ৰাইতেছে। হতভাগিনী কমল করুণনেত্রে এক-একবার তাহাদের মুখের দিকে চাহিতেছে। কী বলিতে গিয়া বলিতেছে না, আবার অশ্রুসলিলে অঞ্চল সিক্ত করিয়া তুষারস্তরে পদচিহ্ন অঙ্কিত করিতেছে। কুটিরে রুগণ মাতা অনাহারে শষ্যাগত। সমস্ত দিন বালিকা এক মুষ্টিও জাহার করিতে পায় নাই, প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত পথে পথে ভ্ৰমণ করিতেছে। সাহস, করিয়া ভীতিবিহালা বালা কাহারে কাছে ভিক্ষা চাহিতে পারে নাই— বালিকা কখনো ভিক্ষা করে নাই, কী করিয়া ভিক্ষা করিতে হয় জানে না, কাহাকে কী বলিতে হয় জানে না। আলুলিত কুন্তলরাশির মধ্যে সেই ক্ষুদ্র করুণ মুখখানি দেখিলে, দারুণ শীতে কম্পমান তাহার সেই ক্ষুদ্র দেহখানি দেখিলে, পাষাণও বিগলিত হুইত । ক্রমে অন্ধকার ঘনীভূত হইল। নিরাশ বালিকা ভগ্নহৃদয়ে শূন্য অঞ্চলে কুটিরে ফিরিয়া যাইতেছে— কিন্তু অসাড় পা আর উঠে না ; অনাহারে দুর্বল, পথশ্রমে ক্লান্ত, নিরাশায় ম্ৰিয়মাণ, শীতে অবসন্ন বালিকা আর চলিতে পারে না, অবশ হইয়া পথ.প্রান্তে তুষারশষ্যায় শুইয়া পড়িল। শরীর ক্রমে আরো অবসর হইতে লাগিল। বালিকা বুবিল ক্রমে সে অবসর হইয়া তুষারে চাপা পড়িয়া মরিবে। মাকে স্বরণ করিয়া কাদিয়া উঠিল ; জোড়হন্তে কহিল, “মা ভগবতী, আমাকে মারিয়া ফেলিয়ে না, আমাকে রক্ষা করে, আমি মরিলে ৰে আমার মা কাদিকে, আমার আমর কাদিৰে ।” ক্রমে বালিক অচেতন হইয়া পড়িল। কমল জালুলিতকুন্তলে শিখিল-অঞ্চলে তুষারে অর্থময়া হইয়া বৃক্ষচ্যুত মলিন ফুলটির মতো পথপ্রান্তে পড়িয়া রহিল। তুষারের উপর তুষার পড়িতে লাগিল, বালিকার বক্ষের উপর তুষারের কণা পড়িতেছে ও গলিতেছে। এবং ক্রমে জমিয়া ৰাইতেছে। এই আঁধার রাজিতে একজন পান্থও পথ দিয়া ৰাইতেছে না। বৃষ্টি পড়িতে লাগিল। রাত্রি বাড়িতে লাগিল। বরফ জমিতে লাগিল। ৰালিকা একাকিনী শৈলপথে পড়িয়া রহিল।