পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ রবীন্দ্র রচনাবলী বৎসর বয়সে নিজে সমস্ত কুসংস্কার ও প্রেজুডিসের অধীনতা হইতে মুক্ত হইয়া অসভ্য বঙ্গদেশের নির্দয় দেশাচারসমূহকে বক্তৃতার ঝটিকায় ভাঙিয়া ফেলিবার চেষ্টায় আছেন। কিন্তু গদাধরের সহিত মহেঞ্জের মতের ঐক্য হইল না, এমন-কি, মহেন্দ্ৰ মনে-মনে একটু অসন্তুষ্ট হইল। গদাধর আর অধিক কিছু বলিল না ; ভাবিল, ‘আরো দিনকতক স্বাক, তাহার পরে পুনরায় এই কথা তুলিব।’ আরো দিনকতক গেল, মহেন্দ্র এখন নরেন্দ্রদের দলে সম্পূর্ণরূপে যোগ দিয়াছে। মহেঞ্জের মনে আর মন্থন্তত্বের কিছুমাত্র অবশিষ্ট নাই। গদাধর আর-একবার পূর্বকার কথা পাড়িল, মহেন্দ্রের তাহাতে কোনো আপত্তি হইল না। মহেঞ্জের নামে কলঙ্ক ক্রমে রাষ্ট্র হইতে লাগিল। কিন্তু মহেঞ্জের হৃদয়ে এতটুকু লোকলজ অবশিষ্ট ছিল না যে, এই অপবাদে তাহার মন তিলমাত্র ব্যথিত হইতে পারে । মহেন্দ্রের ভগিনী পিতা ও অন্যান্ত আত্মীয়েরা ইহাতে কিছু কষ্ট পাইল বটে, কিন্তু হতভাগিনী রজনীর হৃদয়ে যেমন আঘাত লাগিল এমন আর কাঠারো নয়। যখন মহেন্ধ মদ খাইয়া এলোমেলো বকিতে থাকে তখন রজনীর কী মর্মাস্তিক ইচ্ছা হয় যে, আর কেহ সেখানে না আসে। যখন মহেন্দ্র মাতাল অবস্থায় টলিতে টলিতে আইসে রজনী তাহাকে কোনো ক্রমে ঘরের মধ্যে লইয়া গিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দেয়, তখন তাহার কতই-না ভয় হয় পাছে আর কেহ দেখিতে পায়। অভাগিনী মহেন্দ্রকে কোনো কথা বলিতে, পরামর্শ দিতে বা বারণ করিতে সাহস করিত না, তাহার যতদূর সাধ্য কোনোমতে মহেন্ত্রের দোষ আর কাহাকেও দেখিতে দিত না। মহেঞ্জের অসত অবস্থায় রজনীর ইচ্ছা করিত তাহাকে বুক দিয়া ঢাকিয়া রাখে, যেন আর কেহ দেখিতে না পায়। কেহ তাহার সাক্ষাতে মহেন্দ্রের নিন্দা করিলে সে তাহার প্রতিবাদ করিতে সাহস করিত না, অন্তরালে গিয়া ক্ৰন্দন করা ভিন্ন তাহার আর কোনো উপায় ছিল না। সে তাহার মহেন্দ্রের জন্ত দেবতার কাছে কত প্রার্থনা করিয়াছে, কিন্তু মহেঙ্গ তাহার शड चदशंग्न ब्रखनैौब्र शव्र १ डिद्र किहूझे थांर्थना कळत नाहे । ब्रजनैौ बटन ऋन कश्ऊि, রজনীর মরিতে কতক্ষণ, কিন্তু রজনী মরিলে তোমাকে কে দেখিবে।’ একদিন রাত্রি দুইটার সময় টলিতে টলিতে মহেন্দ্র ঘরে জাসিয়া ভূমিতলে গুইয়া পড়িল। রজনী জাগিয়া জানালায় বসিয়া ছিল, সে তাড়াতাড়ি কাছে জাসিয়া বলিল । মহেন্দ্র তখন অচৈতন্ত। রজনী ভয়ে ভয়ে ধীরে ধীরে কতক্ষণের পর মহেঞ্জের মাখা কোলে তুলিয়া লইল। আর কখনো সে মহেক্সের মাথা কোলে রাখে নাই ; সাহলে বুক বধিয়া আজ রাখিল। একটি প্লাখা লইয়া ধীরে ধীরে বাতাস করিতে লাগিল।