পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী * א"לל কিন্তু একি সংবাদ! মহেন্দ্র নরেন্ত্রের সন্ধান আবার পাইয়াছে শুনিতেছি। মহেন্দ্র করুণা ও নরেন্দ্রের জন্য একটি ভালো বাড়ি ভাড়া করিয়াছে। নরেন্স মহেক্সের ব্যয়ে সে বাড়িতে বাস করিতে সহজেই স্বীকৃত হইয়াছে। কিন্তু একবার মন ভাঙিয়া গেলে তাহাতে আর স্কৃতি হওয়া সহজ নহে— করুণা এই সংবাদ শুনিল, কিন্তু তাহার অবসন্ন মন আর তেমন জাগিয়া উঠিল না। করুণা মহেন্দ্রমের বাড়ি হইতে বিদায় হইল— যাইবার দিন রজনী করুণার গলা জড়াইয়া ধরিয়া কতই কাদিতে লাগিল । করুণা চলিয়া গেলে সে বাড়ি যেন কেমন শূন্য-শূন্ত হইয়া গেল। সেই যে করুণ গেল, আর সে ফিরিল না। সে বাড়িতে সেই অবধি করুণার সেই স্বমধুর হাসির ধ্বনি একদিনের জন্যও আর শুনা গেল না । ষড় বিংশ পরিচ্ছেদ পীড়িত অবস্থায় করুণ। নরেন্দ্রের নিকট আসিল । মহেন্দ্র প্রায় মাঝে মাঝে করুণাকে দেখিতে আসিতেন ; করুণা কখনো খারাপ থাকিত, কখনো ভালো থাকিত । এমনি করিয়া দিন চলিয়া যাইতেছে। নরেন্দ্র করুণাকে মনে মনে ঘৃণা করিত, কেবল মহেঞ্জের ভয়ে এখনো তাহার উপর কোনো অসাব্যবহার করিতে আরম্ভ করে নাই । কিন্তু নরেন্দ্র প্রায় বাড়িতে থাকিত না— দুই-এক দিন বাদে যে অবস্থায় বাড়িতে আসিত, তখন করুণার কাছে না আসিলেই ভালো হইত। তাহার অবর্তমানে পীড়িতা করুণাকে দেখিবার কেহ লোক নাই। কেবল সেই দাসীটি মাঝে মাঝে আসিয়া বিরক্তির স্বরে কহিত, “তোমার কি ব্যামো কিছুতেই সারবে না গা। কী যন্ত্রণ !” নরেঞ্জের উপর এই দাসীটির মহা আধিপত্য ছিল । নরেন্দ্ৰ ৰখন মাঝে মাঝে বাড়ি হইতে চলিয়া যাইত, তখন ইহার যত ঈর্ষ হইত, এত আর কাহারো নয়। এমন-কি, নরেন্স বাড়ি ফিরিয়া আসিলে তাহাকে মাঝে মাঝে ঝাটাইতে ক্রটি করিত না। মাঝে মাঝে নরেন্সের উপর ইহার অভিমানই বা দেখে কে। করুণার উপরেও ইহার ভারি অাক্রোশ ছিল, করুণাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় লইয়া জালাতন করিয়া মারিত। प्राप्त शाहक नाम्नाञ्जघ्न नशिउ इंशद्र भश यांब्रांबांब्रि वांश्ब्रिा बाहेठ- श्छामहे इछानब्र উপর গালাগালি ও কিল চাপড় বর্ষণ করিয়া কুরুক্ষেত্র বাধাইয়া দিত। কিন্তু এইরূপ জনশ্রুতি আছে, নরেন্স তাহার বিপদের দিনে ইহার সাহায্যে দিনযাপন করিতেন। নরেন্ত্রের ব্যবহার ক্রমেই স্মৃতি পাইতে লাগিল। যখন তখন জাসিয়া মাতলামি করিত, সেই দাসীটির সহিত ভারি ঝগড়া বাধাইয়া দিত। করুণা এই-সমস্তই দেখিতে