পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ Σίνθ

  • हेिड, क्रूि उांशंद्र कशन 4कथकांtब्रव्र डांव इहेग्रांटाइ- ८न बाब काङ्ग बांश হইতেছে হউক, বাহা বাইতেছে চলিয়া যাক । দাসীটা মাঝে মাঝে নরেন্সের উপর রাগিয়া করুণার নিকট গরগর করিয়া মুখ নাড়িয়া ৰাইত ; করুণা চুপ করিয়া থাকিত, কিছুই উত্তর দিত না । নরেন্স জাবগুকমত গৃহসজ্জা বিক্রয় করিতে লাগিল। অবশেষে তাহাতেও কিছু হইল না— অর্থসাহায্য চাহিয়া মহেক্সকে একখানা চিঠি লিখিবার জন্ত করুণাকে পীড়াপীড়ি করিতে আরম্ভ করিল। করুণা বেচারি কোথায় একটু নিশ্চিন্ত হইতে চায়, কোথায় সে মনে করিতেছে ‘ষে বাহ করে করুক— আমাকে একটু একেলা থাকিতে দিক, না, তাহাকে লইয়াই এই-সমস্ত হাঙ্গাম ! সে কী করে, মাঝে মাঝে লিখিয়া দিত। কিন্তু বার বার এমন কী করিয়া লিখিবে । মহেক্সের নিকট হইতে বাব বার অর্থ চাহিতে তাহার কেমন কষ্ট হুইত, তদ্ভিন্ন সে জানিত অর্থ পাইলেই নরেন্স তাহা দুষ্কর্মে ব্যয় করিবে মাত্র।

একদিন সন্ধ্যার সময় নরেন্দ্ৰ আসিয়া মহেন্দ্রকে চিঠি লিখিবার জন্য করুণাকে পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল । করুণ কাদিতে কাদিতে কহিল, “পায়ে পড়ি, আমাকে আর চিঠি লিখিতে বলিয়ে না।” সেই সময় সেই দাসীটি আসিয়া পড়িল, সেও নরেন্দ্রের সঙ্গে যোগ দিল— কহিল, “তুমি আমন একগুঁয়ে মেয়ে কেন গা ! টাকা না থাকলে গিলবে কী।” নরেন্স ক্রুদ্ধভাবে কহিল, “লিখিতেই হইবে।” করুণা নরেন্দ্রের পা জড়াইয়া ধরিয়া কহিল, “ক্ষমা করে, আমি লিখিতে পারিব না ।” “লিখিবি না ? হতভাগিনী, লিখিবি না ?” ক্রোধে রক্তবর্ণ হইয়া নরেন্দ্র করুণাকে প্রহার করিতে লাগিল। এমন সময় সহসা দ্বার খুলিয়া পণ্ডিতমহাশয় প্রবেশ করিলেন ; তিনি তাড়াতাড়ি গিয়া নরেন্দ্রকে ছাড়াইয়। দিলেন, দেখিলেন দুর্বল করুণা মূৰ্ছিত হুইয়া পড়িয়াছে। সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ পূর্বেই বলিয়াছি, পণ্ডিতমহাশয় নিধির টানাটানিতে গাড়িতে উঠিলেন বটে, কিন্তু তাহার মন কখনোই ভালো ছিল না। তিনি প্রায়ই মাঝে মাঝে মনে করিতেন, তাহার স্নেহভাগিনী করুণার দশা কী হইল ! এইরূপ অম্লতাপে ৰখন কষ্ট পাইতেছিলেন এমন সময়ে দৈবক্রমে মোহিনীর সহিত সত্য-সত্যই তাহার সাক্ষাৎ হয়। তাহার নিকট করুণার সমস্ত সংবাদ পাইয়া জার থাকিতে পারিলেন না,