পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏమS রবীন্দ্র-রচনাবলী চলছে ; আমার স্থখ-দুঃখ বাসনা-বেদন তার মধ্যে আপনার আপনার স্থান গ্রহণ করছে। এই থেকে কী হয়ে উঠবে জানি নে, কারণ আমরা একটি ধূলিকণাকেও জানি নে। কিন্তু নিজের প্রবহমান জীবনটাকে যখন নিজের বাইরে অনন্ত দেশকালের সঙ্গে যোগ করে দেখি তখন জীবনের সমস্ত দুঃখগুলিকেও একটা বৃহৎ আনন্দত্রের মধ্যে গ্রথিত দেখতে পাই— আমি আছি, আমি হচ্ছি, আমি চলছি, এইটেকে একটা বিরাট ব্যাপার বলে বুঝতে পারি, আমি আছি এবং আমার সঙ্গে সঙ্গেই আর-সমস্তই আছে, আমাকে ছেড়ে এই অসীম জগতের একটি অণুপরমাণুও থাকতে পারে না, আমার আত্মীয়দের সঙ্গে আমার যে যোগ, এই সুন্দর শরৎপ্ৰভাতের সঙ্গে তার চেয়ে কিছুমাত্র কম ঘনিষ্ঠ যোগ নয়— সেইজন্তই এই জ্যোতির্ময় শূন্ত আমার অন্তরাত্মাকে তার নিজের মধ্যে এমন করে পরিব্যাপ্ত করে নেয়। নইলে সে কি আমার মনকে তিলমাত্র স্পর্শ করতে পারত ? নইলে তাকে কি আমি সুন্দর বলে অনুভব করতেম ? অামার সঙ্গে অনন্ত জগৎ-প্রাণের যে চিরকালের নিগৃঢ় সম্বন্ধ, সেই সম্বন্ধের প্রত্যক্ষগম্য বিচিত্র ভাষা হচ্ছে বর্ণগন্ধগীত। চতুর্দিকে এই ভাষার অবিশ্রাম বিকাশ আমাদের মনকে লক্ষ্যঅলক্ষ্যভাবে ক্রমাগতই আন্দোলিত করছে, কথাবার্তা দিনরাত্রিই চলছে। এই পত্রে আমার অন্তনিহিত ষে জনশক্তির কথা লিখিয়াছি, যে শক্তি আমার জীবনের সমস্ত সুখদুঃখকে সমস্ত ঘটনাকে ঐক্যদান তাৎপর্যদান করিতেছে, আমার রূপক্সপান্তর জন্মজন্মাস্তরকে একসূত্রে গাথিতেছে, যাহার মধ্য দিয়া বিশ্বচরাচরের মধ্যে ঐক্য অনুভব করিতেছি, তাহাকেই ‘জীবনদেবতা’ নাম দিয়া লিখিয়াছিলাম— ওহে অস্তরতম, মিটেছে কি তব সকল তিয়াষ আসি অস্তরে মম ? দুঃখমুখের লক্ষ ধারায় পাত্র ভরিয়া দিয়েছি তোমায়, निठूद्र नैौफ़ान निडाफ़ि दक দলিতভ্রাক্ষ-সম । কত যে বরন, কত যে গন্ধ, কত যে রাগিণী, কত যে ছন্দ, গাথিয়া গাথিয়া করেছি বয়ন , বাসরশয়ন তব