পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

च्षांप्यू*ब्रिछग्न శి తిపి তাহা ছায়ের প্রতি। মহবের হিসাব করিয়া আমরা মাহবকে ভক্তি করি, ৰোগ্যতার হিসাব করিয়া তাহাকে শ্রদ্ধা করিয়া থাকি, কিন্তু প্রীতির কোনো হিসাবকিতাব নাই । সেই প্রেম যখন যজ্ঞ করিতে বসে তখন নিবিচারে আপনাকে রিক্ত করিয়া দেয় । বুদ্ধির জোরে নয়, বিষ্ঠার জোরে নয়, সাধুত্বের গৌরবে নয়, যদি অনেক কাল বঁাশি বাজাইতে বাজাইতে তাহারই কোনো একটা স্বরে আপনাদের হৃদয়ের সেই প্রীতিকে পাইয়া থাকি তবে আমি ধন্ত হইয়াছি— তবে আমার আর সংকোচের কোনো কথা নাই। কেননা, আপনাকে দিবার বেলায় প্রীতির যেমন কোনো হিসাব থাকে না, তেমনি যে লোক ভাগ্যক্রমে তাহ পায় নিজের যোগ্যতার হিসাব লইয়া তাহারও কুষ্ঠিত হইবার কোনো প্রয়োজন নাই। যে মানুষ প্রেম দান করিতে পারে ক্ষমতা তাহারই– যে মানুষ প্রেম লাভ করে তাহার কেবল সৌভাগ্য। প্রেমের ক্ষমতা যে কতবড়ো আজ আমি তাহা বিশেষরূপে অনুভব করিতেছি । আমি যাহা পাইয়াছি তাহ শস্ত জিনিস নহে। আমরা ভৃত্যকে যে বেতন চুকাইয়া দিই তাহা তুচ্ছ, স্তুতিবাদককে যে পুরস্কার দিই তাহ হেয়। সেই অবজ্ঞার দান আমি প্রার্থনা করি নাই, আপনারাও তাহা দেন নাই। আমি প্রেমেরই দ্বান পাইয়াছি। সেই প্রেমের একটি মহৎ পরিচয় আছে। আমরা যে জিনিসটার দাম দিই তাহার ক্রটি সহিতে পারি না— কোথাও ফুটা বা দাগ দেখিলে দাম ফিরাইয়া লইতে চাই । যখন মজুরি দিই তখন কাজের ভুলচুকের জন্য জরিমানা করিয়া থাকি। কিন্তু প্রেম অনেক সহ করে, অনেক ক্ষমা করে ; আধাতকে গ্রহণ করিয়াই সে আপনার মহত্ব প্রকাশ করে । অাজ চল্লিশ বৎসরের উর্ধ্বকাল সাহিত্যের সাধনা করিয়া আসিয়াছি— ভূলচুক ৰে অনেক করিয়াছি এবং আঘাতও যে বারম্বার দিয়াছি তাহাতে কোনোই সন্দেহ থাকিতে পারে না। আমার সেই-সমস্ত অপূর্ণতা, আমার সেই-সমস্ত কঠোরতবিরুদ্ধতার উর্ধের্ব দাড়াইয়া আপনারা অামাকে যে মাল্য দান করিয়াছেন তাহা প্রীতির মাল্য ছাড়া আর-কিছুই হইতে পারে না। এই দানেই আপনাদের যথার্থ গৌরব এবং সেই গৌরবেই আমি গৌরবান্বিত । যেখানে প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিয়ম প্রবল সেখানে প্রাকৃতিক প্রাচুর্যের প্রয়োজন আছে । যেখানে অনেক জন্মে সেখানে ময়েও বেশি– তাহার মধ্য হইতে কিছু টিকিয়া যায়। কবিদের মধ্যে যাহার কলানিপূণ, ধাছার আর্টস্ট, তাহারা মানসিক নির্বাচনের নিয়মে স্বাক্ট করেন, প্রাকৃতিক নির্বাচনকে কাছে ৰেষিতে দেন না। তাহার বাহ-কিছু প্রকাশ করেন তাহ সমস্তটাই একেবায়ে সার্থক হইয় উঠে।