२२8 রবীন্দ্র-রচনাবলী নাড়ির শোণিত দিয়ে তাকে প্রাণদান করতে চাই, তার পরে জীবনে স্বখ পাই আর না-পাই আনন্দ্রে চরিতার্থ হয়ে মরতে পারি। এমনি করে ক্রমে ক্রমে জীবনের মধ্যে ধর্মকে স্পষ্ট করে স্বীকার করবার অবস্থা এসে পৌছল। যতই এটা এগিয়ে চলল ততই পূর্ব জীবনের সঙ্গে আসন্ন জীবনের একটা বিচ্ছেদ দেখা দিতে লাগল। অনন্ত আকাশে বিশ্ব-প্রকৃতির ষে শাস্তিময় মাধুর্য-আসনট পাতা ছিল, সেটাকে হঠাৎ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে বিরোধ-বিক্ষুব্ধ মানবলোকে রুদ্রবেশে কে দেখা দিল। এখন থেকে দ্বম্বের দুঃখ, বিপ্লবের আলোড়ন। সেই নূতন বোধের অভু্যদয় যে কী রকম ঝড়ের বেশে দেখা দিয়েছিল এই সময়কার 'বর্ষশেষ’ কবিতার মধ্যে সেই কথাটি আছে— হে দুৰ্দম, হে নিশ্চিত, হে নূতন, নিষ্ঠুর নূতন, সহজ প্রবল । জীর্ণ পুষ্পদল যথা ধ্বংস ভ্রংশ করি চতুর্দিকে বাহিরায় ফল— পুরাতন পর্ণপুট দীর্ণ করি বিকীর্ণ করিয়া অপূর্ব আকারে তেমনি সবলে তুমি পরিপূর্ণ হয়েছ প্রকাশ– প্রণমি তোমারে। তোমারে প্রণমি আমি, হে ভীষণ, স্বস্নিগ্ধ খামল, অক্লাস্ত আয়নি’ । সদ্যোজাত মহাবীর, কী এনেছ করিয়া বহন কিছু নাহি জানো। উড়েছে তোমার ধ্বজ মেম্বয়ন্ত্রচু্যত তপনের জলদচিরেখা— করজোড়ে চেয়ে আছি উর্ধ্বমুখে, পড়িতে জানি না কী তাহাতে লেখা । হে কুমার, হাস্তমুখে তোমার ধন্থকে দাও টান दनन ब्रबन, বক্ষের পঞ্জর ভেদি অস্তুরেতে হউক কম্পিত ठूउँौद्ध दमन ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।