পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপরিচয় २ee মরতে মরতে মরণটারে শেষ করে দে একেবারে, তার পরে সেই জীবন এসে আপন আসন আপনি লবে । মানুষ জেনেছে – নয় এ মধুর খেলা, তোমায় জামায় সারাজীবন সকাল-সন্ধ্যাৰেলা । কতবার যে নিবল বাতি, গর্জে এল ঝড়ের রাতি, সংসারের এই দোলায় দিলে সংশয়েরি ঠেলা । বারে বারে বাধ ভাঙিয়া, বস্তা ছুটেছে, দারুণ দিনে দিকে দিকে, কান্না উঠেছে। ওগো রুদ্র, দুঃখে স্বখে, এই কথাটি বাজল বুকে— তোমার প্রেমে আঘাত আছে নাইকো অবহেলা । আমার ধর্ম কী, তা যে আজও আমি সম্পূর্ণ এবং স্বম্পষ্ট করে জানি, এমন কথা বলতে পারি নে – অনুশাসন-আকারে তত্ত্ব-জাকারে কোনো পুথিতে লেখা ধর্ম সে তো নয়। সেই ধর্মকে জীবনের মর্মকোষ থেকে বিচ্ছিন্ন ক'রে, উদঘাটিত ক'রে, স্থির করে দাড় করিয়ে দেখা ও জানা আমার পক্ষে অসম্ভব— কিন্তু অলস শাস্তি ও সৌন্দৰ্যরসভোগ যে সেই ধর্মের প্রধান লক্ষ্য বা উপাদান নয়, এ কথা নিশ্চয় জানি। আমি স্বীকার করি, আনন্দাদ্ধোৰ খৰিমানি ভূতানি জায়ন্তে এবং আনন্দং প্রয়ন্তি অভিসংবিশৰ্ত্তি— কিন্তু সেই আনন্দ দুঃখকে-বর্জন-কর আনন্দ নয়, দুঃখকে আত্মসাৎ করা জানন্দ । সেই আনন্দের ৰে মঙ্গলৰূপ তা অমঙ্গলকে অতিক্রম করেই, তাকে ত্যাগ করে নয়, তার ৰে অখও অৰৈত রূপ তা সমস্ত বিভাগ ও বিরোধকে পরিপূর্ণ করে তুলে, তাকে অস্বীকার कब्र नग्न । • "پيدا