পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ઉર ब्ररौौटश-ब्रफ़नांदणेौ করে, বকলে ঈষৎ হেসে বলে 'ভূল হয়ে গেছে, সে বেনারসি-জোড় পরে বয়বেশে এলে দৃপ্তটা কিরকম হয় সে কথা তুচ্ছ, কিন্তু সে অনেক বেশি বাস্তব অনেক নামজাদার চেয়ে এই প্রসঙ্গে তাদের নাম উল্লেখ করতে কুষ্ঠা হচ্ছে। অর্থাৎ, যদি কবিতা লেখা যায় তবে একে তার নায়ক বা উপনায়ক করলে ঢের বেশি উপাদেয় হবে কোনো বাক্ষ্মীপ্রবর গণনায়ককে করার চেয়ে। খুব বেশি চেনা হলেই যে বাস্তব হয় তা নয়, কিন্তু বাকে চিনি আর তবু যাকে অপরিহার্যরূপে ই বলেই মানি সেই আমার পক্ষে বাস্তব। ঠিক কী গুণে যে, তা বিশ্লেষণ করে বলা কঠিন। বলা যেতে পারে, তারা জৈব, তারা organic ; তাদের আত্মসাৎ করতে রুচি বা ইচ্ছার বাধা থাকতে পারে, অন্ত বাধা নেই। যেমন ভোজ্য পদার্থ, তাদের কোনোটা তিতো, কোনোটা মিষ্টি, কোনোট কটু ; ব্যবহারে তাদের সম্বন্ধে আদরণীয়তার তারতম্য থাকলেও তাদের সকলেরই মধ্যে একটা সাম্য আছে— তারা জৈবিক, দেহতত্তর নির্মাণে তারা কাজে লাগবার উপযোগী। শরীরের পক্ষে তারা ই-এর দলে, স্বীকৃতির দলে, না-এর দলে নয়। সংসারে আমাদের সকলেরই চার দিকে এই ই-ধর্মীর মণ্ডলী আছে— এই বাস্তবদের আবেষ্টন ; তাদের সকলকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমাদের সত্তা আপনাকে বিচিত্র করেছে, বিস্তীর্ণ হয়েছে ; তারা কেবল মাস্থ্য নয়, তারা কুকুর বেড়াল ঘোড়া টিয়েপাখি কাকাতুয়া, তারা আসশেওড়ার-বেড়া-দেওয়া পানাপুকুর, তারা গোসাইপাড়ার পোড়ো বাগানে ভাঙাপাচিল-ম্বে বা পালতে-মাদার, গোয়ালম্বরের আঙিনায় খড়ের গাদার গন্ধ, পাড়ার মধ্য দিয়ে হাটে যাওয়ার গলি রাস্ত, কামারশালার হাতুড়ি-পেটার জাওয়াজ, বহুপুরোনো ভেঙেপড়া ইটের পাজ যার উপরে জশথগাছ গজিয়ে উঠেছে, রাস্তার ধারের আমড়াতলায় পাড়ার প্রৌঢ়দের তালপাশার জাড্ডা, আরো কত কী— বা কোনো ইতিহাসে স্থান পায় না, কোনো স্কুচিত্রের কোণে জাচড় কাটে না। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পৃথিবীর চারি দিক থেকে নানা ভাষায় সাহিত্যলোকের বাস্তবের দল। ভাষার বেড়া পেরিয়ে তাদের মধ্যে ৰামের সঙ্গেপরিচয় হয় খুশি হয়ে বলি ৰা: বেশ হল, অর্থাং মিলছে প্রাণের সঙ্গে, মনের সঙ্গে।. তাদের মধ্যে রাজাবাদশা আছে, দীনদুগ্ৰীও আছে, স্বপুরুষ আছে, স্বন্দরী আছে, কানা খোড়া কুঁজে কুৎসিতও আছে ; এইসঙ্গে অাছে অদ্ভূত স্থষ্টিছাড়া, কোনো কালে বিধাতার হাত পড়ে নি ৰামের উপরে, প্রাণীতত্ত্বের সঙ্গে শরীরতত্বের সঙ্গে যাদের অস্তিত্বের অমিল, প্রচলিত রীতিপদ্ধতির সঙ্গে স্বাদের অমানান বিস্তর। আর অাছে তারা যারা ঐতিহাসিকতার ভড়ং ক'রে আসরে নামে, কারো-বা মোগলাই পাগড়ি, কারো-বা ৰোধপুরী পায়জাম, কিন্তু বাদের বারে-জানা জাল ইতিহাস, প্রমাণপত্র চাইলে স্বারা নির্লজভাবে বলে বলে 'কেয়ার