পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रैé७ ब्ररौौल-ब्रळनांवलौ গাড়োয়ানের মোচর খেয়ে খেয়ে গ্রস্থিশিথিল-ল্যাজ-ওয়ালা হওয়া চাই। লেখকের जनवथांटन ७ शशि शइ श्नाद्र शञ्च उी श्रज शिउडिकूरःाईौद्र-पूर्शदउँौं अनबांटन जॉहिङ হয়ে আধুনিক সাহিত্যক্ষেত্রে তাড়া খেয়ে মরতে বাবে সমালোচকের কশাইখানায় । বৈশাখ ১৩৪৫ সাহিত্যের মাত্রা বর্তমান যুগে পূর্ব যুগের থেকে মানুষের প্রকৃতির পরিবর্তন হয়েছে, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে না। এখনকার মানুষ জীবনের যে-সব সমস্ত পূরণ করতে চায় তার চিন্তাপ্রণালী প্রধানত বৈজ্ঞানিক, তার প্রবৃত্তি বিশ্লেষণের দিকে, এইজন্তে তার মননবস্তু জমে উঠেছে বিচিত্র রূপে এবং প্রভূত পরিমাণে । কাব্যের পরিধির মধ্যে তার সম্পূর্ণ স্থান হওয়া সম্ভবপর নয়। সাবেক কালে তাতি যখন কাপড় তৈরি করত তখন চরকায় স্বতে কাট থেকে আরম্ভ করে কাপড় বোনা পর্যন্ত সমস্তই সরল গ্রাম্য জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্ত রেখে চলত। বিজ্ঞানের প্রসাদে আধুনিক বাণিজ্যপদ্ধতিতে চলছে প্রভূত পণ্য-উৎপাদন। তার জন্তে প্রকাও ফ্যাক্টরির দরকার । চার দিকের মানবসংসারের সঙ্গে তার সহজ মিল নেই। এইজন্তে এক-একটা কারখানার শহর পরিস্ফীত হয়ে উঠছে, ধোয়াতে কালিতে যন্ত্রের গর্জনে ও আবর্জনায় তার জড়িত বেষ্টিত, সেইসঙ্গে গুচ্ছ গুচ্ছ বিস্ফোটকের মতো দেখা দিয়েছে মজুর-বসতি। এক দিকে বিরাট যন্ত্রশক্তি উদ্‌গার করছে অপরিমিত বস্তুপিণ্ড, অন্য দিকে মলিনতা ও কঠোরতা শৰে গন্ধে দৃপ্তে ভূপে ভূপে পুীভূত হয়ে উঠছে। এর প্রবণত্ব ও বৃহত্ত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কারখানাঘরের সেই প্রবলত্ব ও বৃহত্ত্ব সাহিত্যে দেখা দিয়েছে উপস্তালে, তার জুরি আনুষঙ্গিকতা নিয়ে। ভালো লাঙক মন্দ লাগুক, আধুনিক সভ্যতা আপন কারখানাহাটের জন্তে স্বপরিমিত স্থান নির্দেশ করতে পারছে না। এই অপ্রাণপদার্থ বহু শাখায় প্রকাও হয়ে উঠে প্রাণের আশ্রয়কে দিচ্ছে কোণঠাসা করে। উপন্যাসপাহিত্যেরও সেই দশা। মানুষের প্রাণের রূপ চিন্তার স্থূপে চাপা পড়েছে। বলতে পায়, বর্তমানে এটা অপরিহার্য ; তাই বলে বলতে পার না, এটা সাহিত্য । হাটের জায়গা প্রশস্ত করবার জন্তে মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছে, তাই বলে বলতে পায় না, সেটাই লোকালয় । এখনকার মানুষের প্রবৃত্তি বুদ্ধিগত সমস্তার অভিমুখে, সে কথা অস্বীকার করব ম৷ তার চিন্তায় বাক্যে ব্যবহারে এই বুদ্ধির আলোড়ন চলছে। চলখির ক্যান্টারি