পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४० রবীন্দ্র-রচনাবলী দধিমন্থধ্বনি শুনইতে নীলমণি আওল সঙ্গে বলরাম । যশোমতি হেরি মুখ পাওল মরমে মুখ, خمینے চুম্বয়ে চান্দ-বয়ান। কহে, শুন যাদুমণি, তোরে দিব ক্ষীর ননী, খাইয়া নাচহ মোর আগে । নবনী-লোভিত হরি মায়ের বদন হেরি কর পাতি নবনীত মাগে । রানী দিল পুরি কর, খাইতে রঙ্গিমাধর অতি স্বশোভিত ভেল তায় খাইতে খাইতে নাচে, কটিতে কিঙ্কিণী বাজে, হেরি হরষিত ভেল মায় । नम फूलांज मांक डांजि । ছাড়িল মন্থনদণ্ড, উথলিল মহানন্দ, সঘনে দেই করতালি । দেখো দেখো রোহিণী, গদ গদ কহে রানী, স্বাদুয়া নাচিছে দেখে মোর । ঘনরাম দাসে কয়, রোহিণী আনন্দময়, জুহু ভেল প্রেমে বিভোর । এ ষে আমাদের ঘরের ছেলে, এ চাদ তো নয়। এ রস যুগে যুগে আমাদের মনে সঞ্চিত হয়েছে। মা চিরকাল একে লোভ দেখিয়ে নাচিয়েছে, "চাদ" দেখিয়ে ভোলায় নি। রসের স্বটিতে সর্বত্রই অত্যুক্তির স্থান আছে, কিন্তু সে অত্যুক্তিও জীবনের পরিমাণ রক্ষা করে তবে নিষ্কৃতি পায়। সেই অত্যুক্তি যখন বলে ‘পাষাণ মিলায়ে যায় গায়ের বাতাসে তখন মন বলে, এই মিথ্যে কথার চেয়ে সত্য কথা জার হতে পারে না। রসের অত্যুক্তিতে যখন ধ্বনিত হয় লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখহু তবু হিয়ে জড়ন ন গেল’ তখন মন বলে, ষে হৃদয়ের মধ্যে প্রিয়তমকে অনুভব করি সেই হৃদয়ে যুগযুগান্তরের কোনো সীমাচিহ্ন পাওয়া যায় না। এই অনুভূতিকে অসম্ভব অত্যুক্তি ছাড়া আর কী দিয়ে ব্যক্ত করা যেতে পারে । রসস্থটির সঙ্গে রূপস্থষ্টির এই প্রভেদ ;