পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের স্বরূপ २४r> রূপ জাপন সীমা রক্ষণ করেই সত্যের জাসন পায়, আর রস সেই আসন পায় বাস্তবকে অনায়াসে উপেক্ষা করে । তাই দেখি, সাহিত্যের চিত্রশালায় যেখানে জীবনশিল্পীর নৈপুণ্য উজ্জল হয়ে উঠেছে সেখানে মৃত্যুর প্রবেশদ্বার রুদ্ধ। সেখানে লোকখ্যাতির অনিশ্চয়তা চিরকালের জন্তে নির্বাসিত। তাই বলছিলেম, সাহিত্যে যেখানে সত্যকার রূপ জেগে উঠেছে সেখানে ভয় নেই। চেয়ে দেখলে দেখা যায়, কী প্রকাও সব মূতি, কেউ-বা নীচ শকুনির মতো, মন্থরার মতো, কেউ-বা মহৎ ভীমের মতে, দ্ৰৌপদীর মতো— আশ্চর্ষ মানুষের অমর কীর্তি জীবনের চির-স্বাক্ষরিত। সাহিত্যের এই অমরাবতীতে ধারা স্বষ্টিকর্তার আসন নিয়েছেন তাদের কারো-বা নাম জানা আছে, কারো-বা নেই, কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে তাদের স্পর্শ রয়ে গেছে। তাদের দিকে যখন তাকাই তখনই সংশয় জাগে নিজের অধিকারের প্রতি । আজ জন্মদিনে এই কথাই ভাববার— রসের ভোজে কিংবা রূপের চিত্তশালায় কোনখানে আমার নাম কোন অক্ষরে লেখা পড়েছে। লোকখ্যাতির সমস্ত কোলাহল পেরিয়ে এই কথাটি যদি দৈববাণীর যোগে কানে এসে পৌছতে পারত তা হলেই बांबांद्र छब्रक्रिमब्र श्राष्ट्र निकिष्ठ निर्भेौड शङ । चांछ उ दशङद्र चन्नबांटनञ्च षांब्रl छफ़िउ বিজড়িত। শাস্তিনিকেতন। বৈশাখ ১৩৪৮ छाछे »७av সাহিত্যে ঐতিহাসিকতা আমরা ৰে ইতিহাসের দ্বারাই একান্ত চালিত, এ কথা বার বার শুনেছি এবং বার বার ভিতরে ভিতরে খুব জোরের সঙ্গে মাথা নেড়েছি। এ তর্কের মীমাংসা আমার নিজের অন্তরেই আছে, যেখানে জামি আর-কিছু নই, কেবলমাত্র কবি। সেখানে আমি স্বষ্টিকর্ত, সেখানে আমি একক, আমি মূক্ত ; বাহিরের বহুতর ঘটনাপুঞ্জের দ্বারা জালবদ্ধ নই। ঐতিহাসিক পণ্ডিত আমার সেই কাব্যস্থটির কেন্দ্র থেকে আমাকে টেনে এনে ফেলে যখন, আমার সেটা অসহ হয়। একবার বাওয়া যাক কবিজীবনের গোড়াকার সূচনায় । শীতের রাত্ৰি— ভোরবেলা, পাণ্ডুবর্ণ অালোক অন্ধকার ভেদ করে দেখা দিতে শুরু করেছে। জামাদের ব্যবহার গরিবের মতো ছিল। পীতবস্ত্রের বাহুল্য একেবারেই