পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२88 ब्रदौञ्ज-ब्रक्रमांदजौ কি । মহাত্মা যদি বীরপুরুষ হতেন কিংবা লড়াই করতেন তবে আমরা এমনি করে আজ ওঁকে স্মরণ করতুম না। কারণ, লড়াই করার মতো বীরপুরুষ এবং বড়ো বড়ে সেনাপতি পৃথিবীতে অনেক জন্মগ্রহণ করেছেন। মানুষের যুদ্ধ ধর্মযুদ্ধ, নৈতিক যুদ্ধ। ধর্মযুদ্ধের ভিতরেও নিষ্ঠুরতা আছে, তা গীতা ও মহাভারতে পেয়েছি। তার মধ্যে বাহুবলেরও স্থান আছে কি না এ নিয়ে শাস্থের তর্ক তুলব না। কিন্তু এই যে একটা অনুশাসন, মরব তৰু মারব না, এবং এই করেই জয়ী হব- এ একটা মস্ত বড়ো কথা, একটা বাণী । এটা চাতুরী কিংবা কার্যোদ্ধারের বৈষয়িক পরামর্শ নয়। ধর্মযুদ্ধ বাইরে জেতবার জন্ত নয়, হেরে গিয়েও জয় করবার জন্য। অধৰ্মযুদ্ধে মরাট মরা। ধর্মযুদ্ধে মরার পরেও অবশিষ্ট থাকে ; হার পেরিয়ে থাকে জিত, মৃত্যু পেরিয়ে অমৃত । ধিনি এই কথাটা নিজের জীবনে উপলব্ধি করে স্বীকার করেছেন, তার কথা শুনতে আমরা বাধ্য । এর মূলে একটা শিক্ষার ধারা আছে। ইউরোপে আমরা স্বাধীনতার কলুষ ও স্বাদেশিকতার বিষাক্ত রূপ দেখতে পাই। অবশ্য, আরম্ভে তারা অনেক ফল পেয়েছে, অনেক ঐশ্বর্য লাভ করেছে। সেই পাশ্চাত্য দেশে খৃস্টধর্মকে শুধু মৌখিক ভাবে গ্রহণ করেছে । খৃস্টধর্মে মানবপ্রেমের বড়ো উদাহরণ আছে ; ভগবান মানুষ হয়ে মানুষের দেহে যত দুঃখ পাপ সব আপন দেহে স্বীকার করে নিয়ে মামুষকে বাচিয়েছেন — এই ইহলোস্তেই, পরলোকে নয়। ষে সকলের চেয়ে দরিদ্র তাকে বস্ত্র দিতে হবে, যে নিরশ্ন তাকে অন্ন দিতে হবে এ কথা খৃস্টধর্মে যেমন স্বম্পঃ ভাবে বলা হয়েছে এমন জার কোথাও নয় | মহাত্মাজি এমন একজন খৃষ্টসাধকের সঙ্গে মিলতে পেরেছিলেন, যার নিয়ত প্রচেষ্টা ছিল মানবের ন্যাধ্য অধিকারকে বাধামুক্ত করা। সৌভাগ্যক্রমে সেই ইউরোপীয় ঋবি টলস্টয়ের কাছ থেকে মহাত্মা গান্ধী খৃস্টানধর্মের অহিংস্রনীতির বাণী যথার্থ ভাবে লাভ করেছিলেন। আরো সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, এ বাণী এমন একজন লোকের যিনি সংসারের বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতার ফলে এই অহিংস্রনীতির তত্ত্ব আপন চরিত্রে উদ্ভাবিত করেছিলেন। মিশনারি অথবা ব্যবসায়ী প্রচারকের কাছে মানবপ্রেমের বাধা বুলি তাকে শুনতে হয় নি। খৃস্টবাণীর এই একটি বড়ো দান আমাদের পাবার অপেক্ষা ছিল। মধ্যযুগে মুসলমানদের কাছ থেকেও আমরা একটি দান পেয়েছি। कांगू, कौब्र, রজব প্রভৃতি সাধুরা প্রচার করে গিয়েছেন ষে— যা নিৰ্মল, বা মুক্ত, বা আত্মার শ্ৰেষ্ঠ সামগ্রী, তা রুদ্ধদ্বার মন্দিরে কৃত্ৰিম অধিকারবিশেষের জন্তে পাহারা-দেওয়া নয় ; তা নিবিচারে সর্ব মানবেরই সম্পদ। যুগে যুগে এইরূপই ঘটে। ধারা মহাপুরুষ তার