পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سO eb\ সৈন্যদলের কুচকাওয়াজ চোখে পড়ল। অবশেষে শ্ৰীযুক্ত বিঠলভাই থাকারলে মহাশয়ের প্রাসাদে গাড়ি থামল। তার বিধবা পত্নী সৌম্যসহান্ত মুখে আমাদের অভ্যর্থনা করে নিয়ে চললেন। সিড়ির দু পাশে দাড়িয়ে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা গান করে অভিনন্দন জানালেন । * গৃহে প্রবেশ করেই বুঝেছিলেম, গভীর একটি আশঙ্কায় হাওয়া ভারাক্রান্ত । সকলের মুখেই দুশ্চিন্তার ছায়া। প্রশ্ন করে জানলেম, মহাত্মাঞ্জির শরীরের অবস্থা সংকটাপন্ন। বিলাত হতে তখনো খবর আসে নি। প্রধানমন্ত্রীর নামে আমি একটি জরুরি তার পাঠিয়ে দিলেম । দরকার ছিল না পাঠাবার। শীঘ্রই জনরব কানে এল, বিলাত থেকে সন্মতি এসেছে। কিন্তু জনরব সত্য কি না তার প্রমাণ পাওয়া গেল বহু ঘণ্টা পরে । মহাত্মাজির মৌনাবলম্বনের দিন আজ। একটার পরে কথা বলবেন । তার ইচ্ছা, সেই সময়ে আমি কাছে থাকি। পথে যেতে যারবেদী জেলের খানিক দূরে জামাদের মোটরগাড়ি আটক পড়ল ; ইংরেজ সৈনিক বললে, কোনো গাড়ি এগোতে দেবার হুকুম নেই। আজকের দিনে জেলখানায় প্রবেশের পথ ভারতবর্ষে প্রশস্ত বলেই তো জানি। গাড়ির চতুর্দিকে নানা লোকের ভিড় জমে উঠল। আমাদের পক্ষ হতে লোক জেলের কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিতে খানিক এগিয়ে যেতেই শ্রমান দেবদাস এসে উপস্থিত, জেল-প্রবেশের ছাড়পত্র তার হাতে । পরে শুনলেম, মহাত্মাজি তাকে পাঠিয়েছিলেন। কেনন। তার হঠাৎ মনে হয়, পুলিস কোথাও আমাদের গাড়ি আটকেছে – যদিও তার কোনো সংবাদ তার জানা ছিল না। লোহার দরজা একটার পর একটা খুলল, আবার বন্ধ হয়ে গেল। সামনে দেখা যায় উচু দেয়ালের ঔদ্ধত্য, বন্দী আকাশ, সোজ-লাইন-করা বাধা রাস্তা, ছুটে চারটে গাছ । দুটো জিনিসের অভিজ্ঞতা আমার জীবনে বিলম্বে ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট পেরিয়ে ঢুকেছি সম্প্রতি। জেলখানায় প্রবেশে আজ বাধা ঘটলেও অবশেষে এলে পৌছনো গেল । বঁ। দিকে সিড়ি উঠে, দরজা পেরিয়ে, দেয়ালে-ম্বের একটি অঙ্গনে প্রবেশ করলেম। मूद्र छूद्र छू-नांद्रि घञ्च । अत्रत्न ७का ८झांt? श्रावणाitझग्न षमझांब्रांग्न थशांच्चाणि শয্যাশায়ী । মহাত্মাজি আমাকে দুই হাতে বুকের কাছে টেনে নিলেন, অনেকক্ষণ রাখলেন। বললেন, কত আনন্দ হল। •