পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वेिश्वडांब्रउँौ Obr@ গণ্ডির মধ্যেই আমাদের ছোটো-পরিচয়ে আবদ্ধ করে তাকে স্বীকার করি নে। ষে আলো সকলের কাছে আমাদের প্রকাশ করে এবং সকলকে আমাদের কাছে প্রকাশ করে আমরা তারই অভিনন্দন করি। ৭ পৌষ ১৩৩০ प्रांघ s७७० SS আজ আমার আর-একবার আশ্রম থেকে দূরে যাবার সময় উপস্থিত হয়েছে, হয়তো কিছু দীর্ঘকালের জন্তে এবার বিদেশে আমাকে কাটাতে হবে। যাবার পূর্বে আরএকবার এই আশ্রম সম্বন্ধে, এই কর্ম সম্বন্ধে আমাদের যা কথা আছে তা স্বম্পষ্ট করে বলে যেতে চাই। আজ আমার চোখের সামনে আমাদের আশ্রমের এই বর্তমান ছবি— এই ছাত্রনিবাস কলাভবন গ্রন্থাগার অতিথিশালা, সব স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে । ভাবছি, কী করে এর আরম্ভ, এর পরিণাম কোথায় । সকলের চেয়ে এইটেই আশ্চর্য যে, যে লোক একেবারে অধোগ্য— মনে করবেন না এ কোনোরকম কৃত্রিম বিনয়ের কথা— তাকে দিয়ে এই কাজ সাধন করে নেবার বিধান। ছাত্রদের যেদিন এখানে আহবান করলুম সেদিন আমার হাতে কেবল যে অর্থ ছিল না তা নয়, একটা বড়ে ঋণভারে তখন আমি একান্ত বিপন্ন। তা শোধ করবার কোনো উপায় আমার ছিল না। তার পরে বিদ্যাশিক্ষা দেওয়া সম্বন্ধে আমার যে কত অক্ষমতা ছিল তা সকলেই জানেন । আমি ভালো করে পড়ি নি, আমাদের দেশে যে শিক্ষাপ্রণালী প্রচলিত ছিল তার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল না। সব রকমের অধোগ্যতা এবং দৈন্ত নিয়ে কাজে নেমেছিলুম। এর আরম্ভ অতি ক্ষীণ এবং দুর্বল ছিল, গুটি-পাচেক ছাত্র ছিল। ছাত্রদের কাছ থেকে বেতন নিতুম না ; ছেলেদের অন্নবস্ত্র, প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্ৰী যেমন করে হোক জামাকেই জোগাতে হত, অধ্যাপকদের সাংসারিক অভাব মোচন করতে হত। বৎসরের পর বংসর বায়, অর্থাভাব সমানই রইল, বিদ্যালয় বাড়তে লাগল। দেখা গেল, বেতন না নিলে বিদ্যালয় রক্ষা করা যায় না। বেতনের প্রবর্তন হল ; কিন্তু অভাব দূর হল না। আমার গ্রন্থের স্বত্ব কিছু কিছু করে বিক্রয় করতে হল। এদিকে ওদিকে ছু-একটা বা সম্পত্তি ছিল তা গেল, অলংকার বিক্রয় করলুম।— নিজের ग२गांब्रटक ब्रिख करङ्ग कांछ। 5ांलांtड ट्ल । की ছঃসাহসে তখন প্রবৃত্ত হয়েছিলুম