পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8९8 রবীন্দ্র-রচনাবলী s কারণ আমাদের উভয়কে যেখানে ব্রহ্ম বেষ্টন করে আছেন সেখানে আমরা এক, একটি মহা ঐক্যে অন্তরঙ্গ হয়ে আছি। এ ভাবে দেখতে গেলে, বিশ্বভারতীতে ভারতের প্রাণ কী তার পরিচয় পেতে হবে, তাতে করে জগতের ষে পরিচয় ঘটবে তার রূপে আত্মাকে প্রতিফলিত দেখতে পাব । আমি আজ ভারতবর্ষ সম্বন্ধে কিছু বলতে চাই। আজ জগৎ জুড়ে একটি সমস্ত রয়েছে। সর্বত্রই একটা বিদ্রোহের ভাব দেখা যাচ্ছে— সে বিদ্রোহ প্রাচীন সভ্যতা, সমাজতন্ত্র, বিদ্যাবুদ্ধি, অনুষ্ঠান, সকলের বিরুদ্ধে। আমাদের আশ্রম দেবালয় প্রভৃতি ষা-কিছু হয়েছিল তা যেন সব ধূলিসাং হয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহের অনল জলছে, তা অর্ডার-প্রগ্রেসকে মানে না, রিফর্ম চায় না, কিছুই চায় না। যে মহাযুদ্ধ হয়ে গেল এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে তার চেয়ে বড়ো যুদ্ধ চলে আসছে, গত মহাযুদ্ধ তারই একটা প্রকাশ মাত্র। এই সমস্তার পূরণ কেমন করে হবে, শাস্তি কোথায় পাওয়া যাবে। সকল জাতিই এর উত্তর দেবার অধিকারী। এই সমস্তায় ভারতের কী বলবার আছে, দেবার আছে ? 劇 আমরা এত কালের ধ্যানধারণা থেকে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তার দ্বারা এই সমস্ত পূরণ করবার কিছু আছে কি না । যুরোপে এ সম্বন্ধে যে চেষ্ট হচ্ছে সেটা পোলিটিকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দিক দিয়ে হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক ভিত্তির উপর টটি, কনভেনশন, প্যাক্ট-এর ভিতর দিয়ে শাস্তিস্থাপনের চেষ্ট হচ্ছে। এ হবে এবং হবার দরকারও আছে। দেখছি সেখানে মালটিপল অ্যালায়েন্স হয়েও হল না, বিরোধ ঘটল । আরবিট্রেশন কোর্ট এবং হেগ-কনফারেন্সে হল না, শেষে লীগ অব cott affo isoso I of own to limitation of armaments কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, এ ছাড়া আরো অন্য দিকে চেষ্টা করতে হবে ; কেবল রাষ্ট্ৰীয় corts RF, HTTfR* fito ag csèl gss Hwfa | Universal simultaneous disarmament of all nations - ag Gog নূতন হিউম্যানিজ মের রিলিজ্যস মুভমেন্ট * হওয়া উচিত। তার ফলস্বরূপ যে মেশিনারি হবে তা পার্লামেন্ট বা ক্যাবিনেটের ডিপ্লোম্যাসির অধীনে থাকবে না। পার্লামেণ্টসমূহের জয়েন্ট, সিটিং তো হবেই, সেইসঙ্গে বিভিন্ন People-এরও কনফারেন্স, হলে তবেই শাভিয় প্রতিষ্ঠা হতে পারে। কিন্তু একটা জিনিস আবস্তক হবে— mass-এর life, mass-এর religion। বর্তমান কালে কেবলমাত্র individual salvation-এ চলবে না ; সর্বমুক্তিতেই এখন মুক্তি, না হলে মুক্তি নেই। ধর্মের এই mass life -এর দিকটা সমাজে স্থাপন করতে হৰে । ভারতের এ সম্বন্ধে কী বাণী বে। ভারতও শান্তির অনুধাবন করেছে, চীনদেশও