পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৪

8¢रे রবীন্দ্র-রচনাবলী ভূতের ভয়টা একলা-মানুষের নিজের দুর্বলতাকেই ভয় । আমাদের বারো-আনা ভয়ই এই ভূতের ভয়। সেটার গোড়াকার কথাই এই যে, আমরা মিলি নাই, আমরা ছাড়াছাড়া হইয়া আছি। ভালো করিয়া ভাবিয়া দেখিলেই দেখা যাইবে, দারিত্র্যের ভয়টাও এই ভূতের ভয়, এটা কাটিয়া যায় যদি আমরা দল বাধিয়া দাড়াইতে পারি। বিষ্ঠা বলো, টাকা বলে, প্রভাপ বলো, ধর্ম বলো, মানুষের ষা-কিছু দামী এবং বড়ো, তাহা মানুষ দল বাধিয়াই পাইয়াছে। বালি-জমিতে ফসল হয় না, কেননা, তাহ অঁাট বাধে না ; তাই তাহাতে রস জমে না, ফাক দিয়া সব গলিয়া যায়। তাই সেই জমির দারিদ্র্য ঘোচাইতে হইলে তাহাতে পলিমাটি পাতা-পচা প্রভৃতি এমন-কিছু যোগ করিতে হয় যাহাতে তার ফাক বোজে, তার আট হয়। মানুষেরও ঠিক তাই ; তাদের মধ্যে ফাক বেশি হইলেই তাদের শক্তি কাজে লাগে না, থাকিয়াও না থাকার মতো হয় । মানুষ যে পরম্পর মিলিয়া তবে সত্য মানুষ হইয়াছে তার গোড়াকার একটা কথা বিচার করিয়া দেখা যাক । মানুষ কথা বলে, মানুষের ভাষা আছে । জন্তুর ভাষা নাই। মানুষের এই ভাষার ফলট কী। যে মনটা আমার নিজের মধ্যে বাধা সেই মনটাকে অন্তের মনের সঙ্গে ভাষার যোগে মিলাইয়া দিতে পারি। কথা কওয়ার জোরে আমার মন দশজনের হয়, দশজনের মন আমার হয়। ইহাতেই মানুষ অনেকে মিলিয়া ভাবিতে পারে। তার ভাবনা বড়ো হইয় উঠে । এই বড়ো ভাবনার ঐশ্বর্ষেই মানুষের মনের গরিবিয়ানা ঘুচিয়াছে। তার পরে মানুষ যখন এই ভাষাকে অক্ষরে লিখিয়া রাখিতে শিখিল তখন মানুষের সঙ্গে মানুষের মনের যোগ আরো অনেক বড়ো হইয়া উঠিল। কেননা, মুখের কথা বেশি দূর পৌছায় না। মুখের কথা ক্রমে মানুষ ভুলিয়া যায় ; মুখে মুখে এক কথা আর হইয়া উঠে। কিন্তু লেখার কথা সাগর পর্বত পার হইয়া যায়, অথচ তার বদল হয় না। এমনি করিয়া যত বেশি মানুষের মনের যোগ হয় তার ভাবনাও তত বড়ো হইয়া উঠে ; তখন প্রত্যেক মানুষ হাজার হাজার মানুষের ভাবনার সামগ্ৰী লাভ করে। ইহাতেই उठांव्र शन क्षनौ छ्झ । শুধু তাই নয়, অক্ষরে লেখা ভাষায় মানুষের মনের যোগ সজীব মানুষকেও ছাড়াইয়া যায়, যে মানুষ হাজার বছর আগে জঙ্কিয়াছিল তার মনের সঙ্গে জার অাজকের দিনের আমার মনের আড়াল ঘুচিয়া যায়। এত বড়ে মনের যোগে তবে बांछ्ष बांzक वrज जङाउ डाँडै पौिग्रांदह । गङाठी कैौ । चांद्र किहू मग्न, cष चबाइब्रि মানুষের এমন-একটি যোগের ক্ষেত্র তৈরি হয় যেখানে প্রতি মানুষের শক্তি সকল