পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৫

সমবায়নীতি 8á° DDBBB DD DD DDD DD DDBBB BB BB BDBB BBDD DDD তোলে । আজ আমাদের দেশটা যে এমন বিষম গরিব তার প্রধান কারণ, আমরা ছাড়া-ছাড়া হইয়া নিজের নিজের দায় একলা বহিতেছি। ভারে যখন ভাঙিয়া পড়ি তখন মাখা তুলিয়া দাড়াইবার জে থাকে না। যুরোপে যখন প্রথম আগুনের কল বাহির হইল তখন অনেক লোক, যারা হাত চালাইয়া কাজ করিত, তারা বেকার হইয়া পড়িল । কলের সঙ্গে শুধু-হাতে মানুষ লড়িবে কী করিয়া ? কিন্তু যুরোপে মানুষ হাল ছাড়িয়া দিতে জানে না। সেখানে একের জন্য অন্তে ভাবিতে শিখিয়াছে ; সে দেশে কোথাও ভাবনার কোনো কারণ ঘটিলেই সেই ভাবনার দায় অনেকে মিলিয়া মাখা পাতিয়া লয়। তাই বেকার কারিগরদের জন্ত সেখানে মানুষ ভাবিতে বসিয়া গেল। বড়ে বড়ো মূলধন নহিলে তো কল চলে না ; তবে যার মূলধন নাই সে কি কেবল কারখানায় সন্ত মাহিনায় মজুরি করিয়াই মরিবে এবং মজুরি না জুটিলে নিরুপায়ে না খাইয়া শুকাইতে থাকিবে ? যেখানে সভ্যতার জোর আছে, প্রাণ আছে, সেখানে দেশের কোনো-এক দল লোক উপবাসে মরিবে বা দুৰ্গতিতে তলাইয়া যাইবে ইহা মানুষ সহ করিতে পারে না ; কেননা, মানুষের সঙ্গে মানুষের বোগে সকলের ভালো হওয়া, ইহাই সভ্যতার প্রাণ। এইজন্ত য়ুরোপে ধারা কেবল গরিবদের জন্য ভাবিতে লাগিলেন তার এই বুঝিলেন যে, যারা একলার দায় একলাই বহিয়৷ বেড়ায় তাদের লক্ষ্মীঐ কোনো উপায়েই হইতে পারে না, অনেক গরিব আপন সামর্থ্য এক জায়গায় মিলাইতে পারিলে সেই মিলনই মূলধন। পূর্বেই বলিয়াছি, অনেকের ভাবনার যোগ ঘটিয়া সভ্য মাছুষের ভাবনা বড়ো হুইয়াছে। তেমনি অনেকের কাজের যোগ ঘটিলে কাজ আপনিই বড়ো হুইয়া উঠতে পারে। গরিবের সংগতিলাভের উপায় এই-বে মিলনের রাস্ত য়ুরোপে ইহা ক্রমেই চওড়া হইতেছে। অামার বিশ্বাস, এই রাস্তাই পৃথিবীতে সকলের চেয়ে বড়ে উপার্জনের রাস্ত হইবে। « জামাকে এক পাড়াগায়ে মাঝে মাঝে বাইতে হয়। সেখানে বারান্দায় দাড়াইয়া দক্ষিণের দিকে চাহিয়া দেখিলে দেখা যায়, পাচ-ছয় মাইল ধরিয়া খেতের পরে খেত চলিয়া গেছে। ঢের লোকে এই-সব জমি চাষ করে। কারো-বা দুই বিঘা জমি, কারো-বা চার, কারো-বা দশ। জমির ভাগগুলি সমান নয়, সীমানা আঁকাবাকা । এই জমির যখন চাষ চলিতে থাকে তখন প্রথমেই এই কথা মনে হয়, হালের গোক কোথাও-বা জমির পক্ষে যথেষ্ট, কোথাও-বা যথেষ্টর চেয়ে বেশি, কোথাও-বা তার চেয়ে কম। চাষার অবস্থার গতিকে কোথাও-বা চাব ৰখাসময়ে আরম্ভ হয়, কোথাও ՀԳլ3 օ 獻