পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমবায়নীতি 9&O একত্র অবস্থিতি সম্ভবপর হল " এইরূপে বহু লোকের মিলনেই মানবের সত্য, সেই মিলনেই তার সভ্যতা। এক কালে জনকরাজা ছিলেন ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতার প্রতিনিধি। তিনি এই সভ্যতার অন্নময় ও জ্ঞানময় ছুটি ধারাকে নিজের মধ্যে মিলিয়েছিলেন। কৃষি ও ব্ৰহ্মজ্ঞান, অর্থাৎ আর্থিক ও পারমার্থিক। এই দুয়ের মধ্যেই ঐক্যসাধনার দুই পথ । जैौउ ८ङ छनरकब्र अर्द्रौब्रिनैौ कछ हिाजन ना । शशांडांव्ररङद्र cबो**ौ ८षबन बख्नडयाँ রামায়ণের সীতা তেমনি কৃষিসম্ভবা। হুলবিদারণ-রেখায় জনক তাকে পেয়েছিলেন । এই সীতাই, এই কৃষিবিদ্যাই, আর্ষাবর্ত থেকে দাক্ষিণাত্যে রাক্ষসদ্ধমন বীরের সঙ্গিনী হয়ে সে-সময়কার সভ্যতার ঐক্যবন্ধনে আর্য-অনার্য সকলকে বেঁধে উত্তরে দক্ষিণে ব্যাপ্ত হয়েছিল। অন্নসাধনার ক্ষেত্রে কৃষিই মানুষকে ব্যক্তিগত খণ্ডতার থেকে বৃহৎ সম্মিলিত সমাজের ঐক্যে উত্তীর্ণ করতে পেরেছিল । ধর্মসাধনায় ব্রহ্মবিদ্যার সেই একই কাজ । যখন প্রত্যেক স্তবকারী আপন স্তবমন্ত্র ও বাহপূজাবিধির মায়াগুণে আপন দেবতার উপরে বিশেষ প্রভাব-বিস্তারের আশা করত— তখন দেবত্ববোধের ভিতর দিয়ে মাছুষ আত্মায় আত্মায় এবং আত্মায় পরমাত্মায় মিলনের ঐক্যবোধ স্বগভীর ও সুবিস্তীর্ণ করে লাভ করেছিল। বৈজ্ঞানিক মহলে এক কালে প্রত্যেক জীবের স্বতন্ত্র সৃষ্টির মত প্রচলিত ছিল। জীবের স্বরূপ সম্বন্ধে তখন মাহুষের ধারণ ছিল খণ্ডিত। ডাক্লইন যখন জীবের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটি মূলগত ঐক্য আবিষ্কার ও প্রচার করলেন তখন এই একটি সত্যের আলোক বৈজ্ঞানিক ঐক্যবুদ্ধির পথ জড়ে জীবে অবারিত করে দিলে। যেমন জ্ঞানের ক্ষেত্রে তেমনি ভাবের ক্ষেত্রে তেমনি কর্মের ক্ষেত্রে সর্বত্রই সত্যের উপলব্ধি ঐক্যবোধে নিয়ে যায় এবং ঐক্যবোধের দ্বারাই সকল-প্রকার ঐশ্বর্ষের স্বষ্টি হয়। বিশ্বব্যাপারে ঐক্যবোধের যোগে যুরোপে জ্ঞান ও শক্তির আশ্চৰ উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে এত উন্নতি মানুষের ইতিহাসে কোথাও আর-কখনো হয়েছে বলে আমরা জানি নে। এই উৎকর্ষলাভের আর-একটি কারণ এই যে, য়ুরোপের জ্ঞানসমৃদ্ধিকে পরিপূর্ণ করবার কাজে রোপের সকল দেশের চিত্তই মিলিত হয়েছে। জাৰার জন্য দিকে দেখতে পাই, রাট্রিক ও অাধিক প্রতিযোগিতায় স্কুরোপ মানুষের ঐক্যমূলক মহাসত্যকে একেবারেই অস্বীকার করেছে। তাই এই দিকে বিনাশের বজ্ঞহুতাশনে রোপ যেরকম প্রচও বলে ও প্রকাও পরিমাণে নয়রক্তের জাহতি দিতে বলেছে মাছুষের ইতিহাসে কোনোনি এমন কখনোই হয় নি। সত্যবিদ্রোহের মহাপাপে