পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&sly ब्ररौठ-बळ्नांवनौ সমবায়নাত সভ্যতার বিশেষ অবস্থায় নগর আপনিই গ্রামের চেয়ে প্রাধান্ত লাভ করে। দেশের প্রাণ ৰে নগরে বেশি বিকাশ পায় তা নয় ; দেশের শক্তি নগরে বেশি সংহত হয়ে ওঠে, এই তার গৌরব। সামাজিকতা হল লোকালয়ের প্রাণ। এই সামাজিকতা কখনোই নগরে জমাট ৰাধতে পারে না । তার একটা কারণ এই যে, নগর আয়তনে বড়ো হওয়াতে মানুষের সামাজিক সম্বন্ধ সেখানে স্বভাবতই আলগা হয়ে থাকে আর-একটা কারণ এই যে, নগরে ব্যবসায় ও অন্তান্ত বিশেষ প্রয়োজন ও সুযোগের অনুরোধে জনসংখ্যা অত্যন্ত মস্ত হয়ে ওঠে। সেখানে মূখ্যত মানুষ নিজের আবশ্বককে চায়, পরম্পরকে চায় না। এইজন্তে শহরে এক পাড়াতেও যারা থাকে তাদের মধ্যে চেনাগুনো না থাকলেও লজ্জা নেই। জীবনযাত্রার জটিলতার সঙ্গে সঙ্গে এই বিচ্ছেদ ক্রমেই বেড়ে উঠছে। বাল্যকালে দেখেছি আমাদের পাড়ার লোকে আমাদের বাড়িতে আত্মীয়ভাবে নিয়তই মেলামেশা করত। আমাদের পুকুরে আশপাশের সকল লোকেরই স্নান, প্রতিবেশীর আমাদের বাগানে অনেকেই হাওয়া খেতে আসতেন এবং পূজার ফুল তুলতে কারো বাধা ছিল না। অামাজের বারান্দায় চৌকি পেতে যে যখন খুশি তামাক দাবি করত। বাড়িতে ক্রিয়াকর্মের ভোজে ও আমোদ-আহলাদে পাড়ার সকল লোকেরই অধিকার এবং আহুকূল্য ছিল। তখনকার ইমারতে দালানের সংলগ্ন একাধিক আঙিনার ব্যবস্থা কেবল যে আলোছায়ার অবাধ প্রবেশের জন্ত তা নয়, সর্বসাধারণের অবধি প্রবেশের জন্তে । তখন নিজের প্রয়োজনের মাঝখানে সকলের প্রয়োজনের জায়গা রাখতে হত ; নিজের সম্পত্তি একেবারে কষাকষি করে নিজেরই ভোগের মাপে ছিল না। ধনীর ভাণ্ডারের এক দরজা ছিল তার নিজের দিকে, এক দরজা সমাজের দিকে। তখন ষে ছিল ধনী তার সৌভাগ্য চারি দিকের লোকের মধ্যে ছিল ছড়ানো। তখন যাকে वजउ किड्रांकई उांद्र शांप्नहे हिल ब्रवाडूठ जनांझूठ नकजाकहे निश्छद्र षट्ब्रग्न ऋषा স্বীকার করার উপলক্ষ । এর থেকে বুঝতে পারি, বাংলাদেশের গ্রামের ষে সামাজিক প্রকৃতি শহরেও সেদিন তা স্থান পেয়েছে। শহরের সঙ্গে পাড়াগায়ের চেহারার মিল তেমন না থাকলেও চরিজের মিল ছিল। নিঃসন্দেহই পুরাতন কালে আমাদের দেশের বড়ো বড়ো নগরগুলি ছিল এই শ্রেণীর। তারা আপন নাগরিকতার অভিমান সত্বেও গ্রামগুলির সঙ্গে জ্ঞাতিৰ স্বীকার করত। কতকটা যেন বড়ো স্বরের সদর-জন্দরের মতো। সদরে