পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नभवांब्रनैौष्ठि 8ማ » লোভের উত্তেজন শক্তির উপাসন,ৰে বা সমাজে কোনাে কারণে জগত হয়ে দেখা দেয় সে অবস্থায় মানুষ আপন সর্বাঙ্গীণ মন্থন্তত্ব-সাধনার দিকে মন দিতে পারে না ; সে প্রবল হতে চায়, পরিপূর্ণ হতে চায় না। এইরকম অবস্থাতেই নগরের আধিপত্য হয় অপরিমিত, আর গ্রামগুলি উপেক্ষিত হতে থাকে। তখন যত-কিছু স্থবিধা স্থযোগ, স্বত-কিছু ভোগের আয়োজন, সমস্ত নগরেই পুঞ্জিত হয়। গ্রামগুলি দাসের মতো অন্ন জোগায়, এবং তার পরিবর্তে কোনোমতে জীবনধারণ করে মাত্র। তাতে সমাজের মধ্যে এমন-একটা ভাগ হয় যাতে এক দিকে পড়ে তীব্র আলো, আরএক দিকে গভীর অন্ধকার। যুরোপের নাগরিক সভ্যতা মানুষের সর্বাঙ্গীণতাকে এই রকমে বিচ্ছিন্ন করে। প্রাচীন গ্রীসের সমস্ত সভ্যতা তার নগরে সংহত ছিল ; তাতে ক্ষণকালের জঙ্গ ঐশ্বৰ্ষস্থষ্টি করে সে লুপ্ত হয়েছে। প্রস্তু এবং দাসের মধ্যে তার ছিল একান্ত ভাগ। প্রাচীন ইটালি ছিল নাগরিক । কিছুকাল সে প্রবলভাবে শক্তির সাধন করেছিল। কিন্তু শক্তির প্রকৃতি সহজেই অসামাজিক- সে শক্তিমান ও শক্তির বাহনকে একান্ত বিভক্ত করে দেয়, তাতে ক’রে অল্পসংখ্যক প্রভু বহুসংখ্যক দাসের পরাশিত হয়ে পড়ে, এই পারাশিত মকুন্তত্বের ভিত্তি নষ্ট করে। পাশ্চাত্য মহাদেশের সভ্যতা নাগরিক ; সেখানকার লোকে কেবল নিজের দেশে নয়, জগৎ জুড়ে মানবলোককে জালো-অন্ধকারে ভাগ করছে। তাদের এত বেশি আকাঙ্ক্ষা বে, সে আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি সহজে তাদের নিজের অধিকারের মধ্যে হতেই পারে না । ইংলগুের মাস্থ্য যে ঐশ্বর্ধকে সভ্যতার অপরিহার্য অঙ্গ বলে জানে তাকে লাভ ও রক্ষা করতে গেলে ভারতবর্ষকে অধীনৰূপে পেতেই হবে ; তাকে ত্যাগ করতে হলে আপন অতিভোগী সভ্যতার আদর্শকে খর্ব না করে তার উপায় নেই। যে শক্তিসাধনা তার চরম লক্ষ্য সেই সাধনার উপকরণরূপে তার পক্ষে দাস-জাতির প্রয়োজন আছে। আজ তাই সমস্ত ব্রিটিশ জাতি সমস্ত ভারতবর্ষের পরাশিতরূপে বাস করছে। এই কারণেই যুরোপের বড়ো বড়ো জাতি এশিয়া-আফ্রিকাকে ভাগাভাগি করে নেবার জন্তে ব্যস্ত ; নইলে তাদের ভোগবহুল সভ্যতাকে আধ-পেটা থাকতে হয়। এই কারণে বৃহদাংশিকের উপর নৃানাংশিকের পারাশিত তাদের নিজের দেশেও বড়ো হয়ে উঠেছে। অতিভোগের সম্বল সর্বসাধারণের মধ্যে সমতুল্য হতেই পারে না, অরলোকের সঞ্চয়কে প্রভূত করতে গেলে বহুলোককে বঞ্চিত হতেই হয়। পাশ্চাত্য দেশে এই সমস্তাই জাজ সবচেয়ে উগ্রভাবে উচ্চত। সেখানে কমিক ও ধনিকে ষে বিরোধ, তার মূলে এই অপরিমিত ভোগের স্বল্প সংহত লোভ। তাতে করেই খনিক ९ षट्बन्न दांश्रम ५कांड विङांत्र, एषश्न दिखांत्र विरक्नैग्न थडूखांख्द्रि गएक शांग-छांठिद्र ।