পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃõ রবীন্দ্র-রচনাবলী जां२षांडिक । छांनौ-बखांनौद्र cडङ्ग चांद्दछ, किरू छांटनक्ष श्रशिकांब्र निtग्न बांछ्ष थॉक्लौब्र তোলে না, বুদ্ধি ও প্রতিভা দলবাধা শক্তিকে বরণ করে না। কিন্তু ব্যক্তিগত অপরিমিত ধনলাভ নিয়ে দেশে দেশে ঘরে ঘরে যে-সব ভেদের প্রাচীর উঠছে তাকে স্বীকার করতে গেলে মাহুষকে পদে পদে কপাল ঠুকতে, মাথা ছেট করতে হবে। পূর্বে এই পার্থক্য ছিল, কিন্তু এর প্রাচীর এত অভ্ৰভেদী ছিল না। সাধারণত লাভের পরিমাণ ও তার আয়োজন এখনকার চেয়ে অনেক পরিমিত ছিল ; স্বতরাং মানুষের সামাজিকতা তার ছায়ায় আজকের মতো এমন অন্ধকারে পড়ে নি, লাভের লোভ সাহিত্য কলাবিষ্ঠা রাষ্ট্রনীতি গার্হস্থ্য সমস্তকেই এমন করে আচ্ছন্ন ও কলুষিত করে নি। অর্থচেষ্টার বাহিরে মামুষে মানুষে মিলনের ক্ষেত্র আরো অনেক প্রশস্ত ছিল। তাই আজকের দিনের সাধনায় ধনীর প্রধান নয়, নির্ধনেরাই প্রধান । বিরাটুকায় ধনের পায়ের চাপ থেকে সমাজকে, মানুষের মুখশাস্তিকে বাচাবার ভার তাদেরই পরে। অর্থোপার্জনের কঠিন-বেড়া-দেওয়া ক্ষেত্রে ম্যুত্বের প্রবেশপথ নিৰ্মাণ তাদেরই হাতে। নির্ধনের দুর্বলতা এতদিন মাহুষের সভ্যতাকে দুর্বল ও অসম্পূর্ণ করে রেখেছিল, অাজ নির্ধনকেই বললাভ ক’রে তার প্রতিকার করতে হবে । আজ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যুরোপে সমবায়নীতি অগ্রসর হয়ে চলেছে। সেখানে স্ববিধা এই যে, মানুষে মানুষে একত্র হবার বুদ্ধি ও অভ্যাস সেখানে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক বেশি । আমর, অন্তত হিন্দুসমাজের লোকে, এই দিকে দুর্বল। কিন্তু এটা আশা করা যায় যে, যে মিলনের মূলে অল্পবস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা সে মিলনের পথ দুঃসহ দৈন্তদুঃখের তাড়নায় এই দেশেও ক্রমশ সহজ হতে পারে। নিতান্ত যদি না পারে তবে দারিত্র্যের হাত থেকে কিছুতেই আমাদের রক্ষা করতে পারবে না। না যদি পারে তা হলে কাউকে দোষ দেওয়া চলবে না।

  • এ কথা মাঝে মাঝে শোনা যায় যে, এক কালে আমাদের জীবনযাত্রা যেরকম নিতান্ত স্বল্লোপকরণ ছিল তেমনি আবার যদি হতে পারে তা হলে দারিদ্র্যের গোড়া কাটা যায়। তার মানে, সম্পূর্ণ অধঃপাত হলে আর পতনের সম্ভাবনা থাকে না । কিন্তু তাকে পরিত্রাণ বলে না। #

এক কালে যা নিয়ে মানুষ কাজ চালিয়েছে চিরদিন তাই নিয়ে চলবে, মানুষের ইতিহাসে এমন কথা লেখে না। মানুষের বুদ্ধি যুগে যুগে নূতন উদ্ভাবনার দ্বার। নিজেকে যদি প্রকাশ না করে তবে তাকে সরে পড়তে হবে। নূতন কাল মানুষের কাছে নূতন অর্ঘ্য দাবি করে ; যারা জোগান বদ্ধ করে তারা বরখাস্ত হয়। মানুষ আপনার এই উদ্ভাবনী শক্তির জোরে নূতন নূতন স্বৰোগ স্বষ্টি করে। তাতেই