পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লীপ্রকৃতি ●●〉 স্বৰোগ ময়, তাতে আর্নল। এই জানলে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিস্বীকার, এমন-কি, মৃত্যুৰীকারও সম্ভবপর হয়। পৃথিবী আমাদের যে অন্ন দিয়ে থাকে সেটা শুধু পেট ভরাবার নয় ; সেটাতে জামাদের চোখ জুড়োয়, আমাদের মন ভোলে। জাকাশ থেকে জাকাশে স্থৰ্যকিরণের যে স্বর্ণরাগ, দিগন্ত থেকে দিগস্তে পাক ফসল-খেতে তারই সঙ্গে স্থর মেলে এমন সোনার রাগিণী । সেই রূপ দেখে মানুষ কেবল ভোজনের কথাই ভাবে না ; সে উৎসবের আয়োজন করে, সে দেখতে পায় লক্ষ্মীকে যিনি একই কালে স্বন্দরী এবং কল্যাণী। ধরণীর অন্নভাণ্ডারে কেবল ষে আমাদের ক্ষুধানিবৃত্তির আশা তা নয়, সেখানে আছে সৌন্দর্যের অমৃত । গাছের ফল আমাদেরকে ডাক দেয় শুধু পুষ্টিকর শহুপিণ্ড দিয়ে নয়, রূপ রস বর্ণ গন্ধ দিয়ে। ছিনিয়ে নেবার হিংস্রতার ডাক এতে নেই, এতে আছে একত্র-নিমন্ত্রণের সৌহার্দ্যের ডাক । পৃথিবীর অন্ন যেমন স্বন্দর, মানুষের সৌহার্দ্য তেমনি স্বন্দর। একলা যে অল্প খাই তাতে আছে পেট ভরানো, পাঁচজনে মিঙ্গে যে অল্প খাই তাতে আছে আত্মীয়তা। এই আত্মীয়তার যজ্ঞক্ষেত্রে অন্নের থালি হয় সুন্দর, পরিবেশন হয় স্বশোভন, পরিবেশ হয় স্বপরিচ্ছন্ন। দৈন্তে মানুষের দাক্ষিণ্য সংকুচিত করে, অথচ দাক্ষিণ্যেই সমাজের প্রতিষ্ঠা। তাই ধরণীর অন্নভাণ্ডারের প্রাঙ্গণেই বাধা হয়েছে মানুষের গ্রাম। মানুষের মধ্যে বা অমৃত তার প্রকাশ হল এই মিলন থেকে— তার ধর্মনীতি, সাহিত্য, সংগীত, শিল্পকলা, তার বিচিত্র আয়োজনপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই মিলন থেকে মানুষ গভীরভাবে আত্মপরিচয় পেলে, আপন পরিপূর্ণতার রূপ তার কাছে দেখা দিল। গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে নগরেরও উদ্ভব। সেখানে রাষ্ট্রশাসনের শক্তি পুীভূত ; সেখানে সৈনিকের দুর্গ, বণিকের পণ্যশালা, বিস্তাদান ও বিস্তা-অৰ্জনের উদ্দেশে বহু স্থান থেকে এক স্থানে শিক্ষক ও ছাত্রের সমাবেশ, দূর পৃথিবীর সঙ্গে জানাশোনা দেনা-পাওনার যোগ। সেখানে মাটির বুকের পরে জগদ্দল পাথর, জীবিকা সেখানে কঠিন, শক্তির সঙ্গে শক্তির প্রতিযোগিতা। সেখানে সকল মানুষকে হার মানিয়ে একলা-মাহুষ বড়ো श्रङ फ्रां८छ् । बांफ़ांवांछि न श्रज ऊांब्र७ फल भन्म मग्न ! दाख्षिांउज्ञ] शक् िअउिलग्न চাপা পড়ে তা হলে ব্যক্তিগত শক্তির উৎকর্ষ ঘটে না। সমান-মাথা-ওয়ালা ঝোপগুলোর চাপে বনস্পতি ঘেঁটে হয়ে থাকে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের অত্যাকাঙ্ক্ষা অধিবাম্পের ঠেলায় জনসঙ্গের সাধারণ আশ্রয়ভূমিকে উচুর দিকে উৎক্ষিপ্ত করে, উৎকর্ষের আদর্শ বেড়ে ওঠে, পরস্পরের নকলে ও রেষারেষিতে মানুষের শক্তির চর্চা অত্যন্ত সচেষ্ট হয়ে থাকে, জ্ঞানের ও কর্মের ক্ষেত্রে নবনবোন্মেষ সম্ভবপর হয়, নানা দেশের নানা জাতির চিত্ত