পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4 εά উপাদান। আজকের দিনে জামাদের দেশে আমরা দ্যাশনাল কাপড়টা খাটো করছি, কিন্তু ও দিকে স্কাশনাল পতাকাটা বেড়ে চলল। তার মানে কাপড়টা কেবল একটা আচ্ছাদন নয়, ওটা একটা ভাষা। অর্থাৎ কাপড়ে মানুষের মন নিজেকে প্রকাশ করবার একটা নূতন উপাদান পেলে। এ কথা সবাই জানে, পাথরের যুগ থেকে মাহব যখন লোহার যুগে এল তখন কেবল ষে তার বাহশক্তির বৃদ্ধি হল তা নয়, তার আন্তরিক শক্তি প্রসার পেলে । পশুর চার পায়ের অবস্থা থেকে যেদিন মানুষ দুই হাত দুই পায়ের অবস্থায় এল তখনই এর গোড়া-পত্তন। দুই হাত থাকাতে পৃথিবীর সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষমতা মানুষের বেড়ে গেছে— এই তার দেহশক্তির বিশেষত্ব থেকে তার মনের শক্তি বিশেষত্ব পেলে । সেইদিন থেকে হাতের সাহায্যেই মানুষ হাতিয়ার তৈরি করে হাতকেই বহুগুণিত করে চলেছে। তাতে করেই বিশ্বের সঙ্গে তার ব্যবহার কেবলই বেড়ে উঠছে, তার থেকেই তার মনের রুদ্ধদ্বার নানা দিকে খুলে যাচ্ছে । কোনো সন্ন্যাসী যদি বলেন যে, বিশ্বের সঙ্গে ব্যবহারের শক্তিকে সংকুচিত করতে হবে, তা হলে গোড়ায় মানুষের হাত ছুটোকেই অপরাধী করতে হয় । ঘোরতর সন্ন্যাসী ততদূর পর্যন্তই বায়। সে উর্ধ্ববাহ হয়ে থাকে ; বলে, ‘সংসারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যবহারই নেই, আমি মুক্ত। হাতের শক্তিকে খানিক দূর পর্যন্তই এগোতে দেব, তার বেশি এগোতে দেব না— এটা হচ্ছে নৃানাধিক পরিমাণে সেই উর্ধ্ববাহুত্বের বিধান। এত বড়ো শাসনের অধিকার পৃথিবীতে কার অাছে। বিশ্বকৰ্ম মানুষকে যতদূর পর্যন্ত এগিয়ে আসবার জন্তে আহ্বান করেন তাকে ততদূর পর্যন্ত এগোতে দেব না— বিধাতৃদত্ত শক্তিকে পঙ্গু করবার এমন স্পর্ব কোন সমাজবিধাতার মুখে শোভা পায়! শক্তির ব্যবহারের পন্থাই আমরা সমাজকল্যাণের অনুগত করে নিয়মিত করতে পারি, কিন্তু শক্তির প্রকাশের পন্থা আমরা অবরুদ্ধ করতে পারি নে। মানুষ যেমন একদিন হাল লাঙলকে, চরকা তাতকে, তীর ধন্থককে, চক্রবান বানবাহনকে গ্রহণ করে তাকে নিজের জীবনযাত্রার অনুগত করেছিল, আধুনিক যন্ত্রকেও আমাদের সেইরকম করতে হবে। যন্ত্রে যারা পিছিয়ে আছে যন্ত্রে অগ্রবর্তীদের সঙ্গে তারা কোনোমতেই পেরে উঠবে না। যে কারণে চার-পা-ওয়ালা জীব দুই-পাওয়ালা জীবের সঙ্গে পেরে ওঠে নি, এও সেই একই কারণ। चांछकब्र क्टिन वाजम्न जांश८षा ७कखन cजांक शबौ श्रांब्र शंखांब्र cजांक ऊांन्न क्लङा, এর থেকে এই প্রমাণ হয় যে, যন্ত্রের দ্বারা একজন লোক হাজার লোকের চেয়ে শক্তিশালী হয়। সেটাতে যদি দোষ থাকে তবে বিস্তা-অৰ্জনেও দোষ আছে। বিস্তার সাহায্যে বিধান অনেক বেশি শক্তিশালী হয় অবিৰানের চেয়ে। এ স্থলে আমাদের