পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্জীপ্ৰকৃতি ●● থাকে তাকে জাগিয়ে তোলা যায়। ७ कथा दक् िनिष्कडे ह८ब्र चौकांब्र न कब्रि, ठाव বুঝব এটাই মোহ। অর্থাৎ, যা নয় তাই মনে করে বল। একটা ঘটনা শুনেছি— হাটুজলে মানুষ ডুবে মরেছে ভয়ে। আচমকা সে মনে করেছিল পায়ের তলায় মাটি নেই। আমাদেরও সেইরকম। মিথ্যে ভয় দূর করতে হবে, যেমনি হোক পায়ের তলায় খাড় দাড়াবার জমি আছে এই বিশ্বাস দৃঢ় করব, সেই আমাদের ব্রত। এখানে এসেছি সেই ব্রতের কথা ঘোষণা করতে। বাইরে থেকে উপকার করতে নয়, দয়া দেখিয়ে কিছু দান করবার জন্তে নয়। ষে প্রাণস্রোত তার আপনার পুরাতন খাত ফেলে দূরে সরে গেছে, বাধামুক্ত করে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে । এসো, একত্রে কাজ করি । সং বো মনাংসি সত্ৰত সমাকৃতীর্ণমামসি । অমী ষে বিব্রত স্থন তান বঃ সং নময়ামসি । এই ঐক্য যাতে স্থাপিত হয়, তারই জন্ধে অক্লান্ত চেষ্টা চাই। ঘরে ঘরে কত বিরোধ । বিচ্ছিন্নভার রক্কে রন্ধে আমাদের ঐশ্বৰ্ষকে আমরা ধূলি-শ্বলিত করে দিয়েছি। সর্বনেশে ছিদ্রগুলোকে রোধ করতে হবে আপনার সব-কিছু দিয়ে। আমরা পরবাসী । দেশে জন্মালেই দেশ আপন হয় না। যতক্ষণ দেশকে না জানি, যতক্ষণ তাকে নিজের শক্তিতে জয় না করি, ততক্ষণ সে দেশ আপনার নয়। আমরা এই দেশকে আপনি জয় করি নি। দেশে অনেক জড় পদার্থ আছে, আমরা তাদেরই প্রতিবেশী । দেশ যেমন এই-সব বস্তপিণ্ডের নয়, দেশ তেমনি আমাদেরও নয়। এই জড়ৰ— একেই বলে মোহ । যে মোহাভিভূত সেই তো চিরপ্রবাসী। সে জানে না সে কোথায় আছে। সে জানে না তার সত্যসম্বন্ধ কার সঙ্গে । বাইরের সহায়তার দ্বারা নিজের সত্য বস্তু কখনোই পাওয়া যায় না। আমার দেশ আর কেউ আমাকে দিতে পারবে না। নিজের সমস্ত ধন-মন-প্রাণ দিয়ে দেশকে যখনই আপন বলে জানতে পারব তখনই দেশ আমার স্বদেশ হবে। পরবাসী স্বদেশে ষে ফিরেছি তার লক্ষণ এই ষে, দেশের প্রাণকে নিজের প্রাণ বলেই জানি। পাশেই প্রত্যক্ষ মরছে দেশের লোক রোগে উপবাসে, আর আমি পরের উপর সমস্ত দোষ চাপিয়ে মঞ্চের উপর চড়ে দেশাত্মবোধের বাগ বিস্তার করছি, এত বড়ো অবাস্তব অপদার্থতা चांग्न किडू एउहे *ांtब्र मां । রোগপীড়িত এই বৎসরে এই সভায় আজ আমরা বিশেষ করে এই ঘোষণা করছি বে, গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে হবে, অবিরোধে একত্ৰত সাধনার দ্বারা। রোগজীর্ণ শরীর কর্তব্য পালন করতে পারে না। এই ব্যাধি যেমন দারিজ্যের বাহন,