পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লীপ্রকৃতি Qbró তৃষ্ণার মাঝখানে, প্রত্যক্ষভাঙ্গ সকলে মিল কাজ করতে হবে। এর বেশি কিছু বলতে চাই নে আজ। কালকে হয়তো আপনারা এ কথা ভুলেও যেতে পারেন, অথবা বলতে পারেন যে আমি খুব ভালো করে বলেছি। এইটুকুই যদি আমার পুরস্কার হয় তবে আমি বঞ্চিত হলাম। আমি আজ যা বলছি তা আমার প্রাণ দিয়ে, আয়ুক্ষয় ক’রে। আমার যে স্বল্পাবশিষ্ট আয়ু তাই আমি দিচ্ছি আমার প্রতি নিশ্বাসে। এর পরিবর্তে আমি চাই সত্যিকার কর্মী। পঞ্জীপ্রাণের বিচিত্র অভাব দূর করবার জন্তে স্বারা ব্ৰতী তাদের পাশে আমি আপনাদের আহবান করছি। তাদের আপনার একলা ফেলে রাখবেন না, অসহায় করে রাখবেন না, তাদের আমুকুল্য করুন। কেবল বাক্য-রচনায় আপনাদের শক্তি নিঃশেষিত হলে, আমাকে যতই প্রশংসা করুন, বরমাল্য দিন, তাতে উপযুক্ত প্রতাপর্ণ হবে না। আমি দেশের জন্যে আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাই। শুধু মুখের কথায় আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। আমি চাই ত্যাগের ভিক্ষ, তা যদি না দিতে পারেন তবে জীবন ব্যর্থ হবে, দেশ সার্থক ভ1 লাভ করতে পারবে না; আপনাদের উত্তেজনা যতই বড়ো হোক-না কেন । আমার স্বল্পাবশিষ্ট নিশ্বাস ব্যয় করে এ কথা বলছি— আপনাদের মনোরঞ্জনের জন্তে, স্তুতিলাভের জন্তে কিছু বলছি না—দেশের জন্যে আমার ভিক্ষাপাত্র ভরে দিন ত্যাগ দিয়ে, কর্মশক্তি দিয়ে। এই ব'লে আজ আপনাদের কাছ থেকে বিদায় গ্রহণ করি। ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ বৈশাখ ১৩৩৩ বাঙালির কাপড়ের কারখানা ও হাতের তাত বাংলাদেশের কাপড়ের কারখানা সম্বন্ধে যে প্রশ্ন এসেছে তার উত্তরে একটি মাত্র বলবার কথা আছে, এগুলিকে বাচাতে হবে। আকাশ থেকে বৃষ্টি এসে আমাদের ফসলের খেত দিয়েছে ডুবিয়ে, তার জন্তে আমরা ভিক্ষা করতে ফিরছি— কার কাছে। সেই খেতটুকু ছাড়া যার অল্পের আর-কোনো উপায় নেই, তারই কাছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সাংঘাতিক প্লাবন, অক্ষমতার প্লাবন, ধনহীনতার প্লাবন। এ দেশের ধনীরা ঋণগ্রস্ত, মধ্যবিত্তের চির দুশ্চিস্তায় মগ্ন, জরিত্রেরা উপবাসী। তার কারণ, এ দেশের क्षएबङ्ग ८करुणद्दे ७ोण क्ष्ग्र, सन् श्ब्रु म । অাজকের দিনের পৃথিবীতে যারা সক্ষম তারা বস্ত্রশক্তিতে শক্তিমান। ষন্ত্রের দ্বারা তারা আপন জজের বহুবিস্তার ঘটিয়েছে, তাই তারা জয়ী। এক দেহে তারা বহুদেহু।