পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tఏ\9 রবীন্দ্র-রচনাবলী কর্ম বহু লোককে নিয়ে। বহু লোককে নিয়ে একে গড়ে তুলতে হয়। সাহিত্য-রচনা একলার জিনিস, সমালোচনা তার দূর হতেও চলে। কিন্তু এই-ষে ব্রত, এই-বে কর্মের অনুষ্ঠান, যা আমি গড়ে তুলছি, ষে কাজের ভার আমি গ্রহণ করেছি— তার , সমালোচনা দূর হতে চলে না। একে দরদ দিয়ে দেখতে হয়, অনুভব করতে হয়। আজ আপনার কবি রবীন্দ্রনাথকে নয়, তার কর্মের অনুষ্ঠানকে প্রত্যক্ষ করুন, দেখে লিখুন, সকলকে জানিয়ে দিন কত বড়ো দুঃসাধ্য কাজের ভিতর আমাকে জড়িয়ে ফেলতে হয়েছে। আমি পল্লীপ্রকৃতির সৌন্দর্যের যে চিত্র একেছি তা শুধু পল্লীপ্রকৃতির বাহিরের সৌন্দর্য ; তার ভিতরকার সত্যরূপ ষে কী শোচনীয়, কী দুর্দশাগ্রস্ত তা আজ আপনার প্রত্যক্ষ করুন। আমাকে এখানে আপনারা বিচার করবেন কবিরূপে নয়, কর্মীরূপে ; এবং সে কর্মের পরিচয় আপনারা এখনই দেখতে পাবেন। এই-ষে কর্মের ধারা আমি এখানে প্রবর্তন করেছি, এই কার্যের, এই প্রতিষ্ঠানের ভার দেশের লোকের কি গ্রহণ করা উচিত নয়। . আজ আপনাদের আমি আমার এই কর্মক্ষেত্রে নিমন্ত্রণ করে এনেছি, কবিতা শোনাবার জন্যে বা কাব্য-আলোচনার জন্তে নয়। আজ আপনার দেখে যান এবং বুঝে যান বাংলার প্রকৃত কর্মক্ষেত্র কোথায়। তাই এখানে আজ বার বার একই কথা বলেছি। আপনারা যদি আমার এই কর্মানুষ্ঠানকে প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করতে পারেন— তবেই হবে তার প্রকৃত সার্থকতা। ৩• ফাস্তুন ১৩৪৩ চৈত্র ১৩৪৩ অভিভাষণ वैदूिक्लॉग्न छननडांइ कषिठ পঞ্চাশ-যাট বছর পূর্বে বাংলার অখ্যাত এক প্রান্তে দিন কেটেছে। স্বদেশের কাছে কি বিদেশের কাছে অজ্ঞাত ছিলুম। তখন মনের ষে স্বাধীনতা ভোগ করেছি সে ৰেন আকাশের মতন। এই আকাশ বাহবা দেয় না, তেমনি বাধাও দেয় না। বকশিশ যখন জোটে নি বকশিশের দিকে তখন মন যায় নি। এই স্বাধীনতায় গান গেয়েছি আপন মনে। সে যুগে যশের হাটে দেনাপাওনার দর ছিল কম, কাজেই লোভ ছিল স্বল্প। আজকের দিনের মতো ঠেলাঠেলি ভিড় ছিল না । সেটা আমার পক্ষে ছিল